আনোয়ারায় গত মঙ্গলবার রাত ১০ টায় উপজেলার বটতলীর নুরপাড়ায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) অভিযান চালিয়ে ২টি দেশীয় এলজি, ৪টি ছোরা, ৮৫ লিটার চোলাই মদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাছাড়া আরো দু’টি পৃথক অভিযানে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১ এক লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৫ পিস ইয়াবাসহ আরো ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাত ও রবিবার দুপুরে এ অভিযান চালায় র্যাব।
আনোয়ারা থানা ও র্যাব-৭ সূত্রে জানা যায়, গোপনে খবর পেয়ে র্যাবের বিশেষ টিম গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় বটতলীর নুরপাড়ার জামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৪টি ছোরা, ৮৫ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জামাল প্রকাশ ডাকাত জামাল পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জামালের স্ত্রী তাজমহল বেগম (৩৩), জুইঁদন্ডী ইউনিয়নের মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আবদুল হালিম (৫০), বারখাইন ইউনিয়নের আবদুল জলিলের পুত্র আবুল কাশেম (৪৫) ও বটতলী গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আলী আহমদের পুত্র মো. ইসমাইল (৪০) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে আনোয়ারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা দোভাষী হাট এলাকায় র্যাব অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিন (২৭) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোভাষির বাজারের একটি দোকানের মাটির নিচ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া রবিবার দুপুরে রায়পুর ইউনিয়নের চুন্নাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে নুর মোহাম্মদের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী মো. ইউনুছ (৪৫) ও বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপের বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী মো. ইসহাক (৪৩) কে গ্রেপ্তার করার পর ইউনুছের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার ৬৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। দুই অভিযানে উদ্ধারকৃত ১ এক লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৫ পিস মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মিয়ানমার থেকে বঙ্গোপসাগরের নৌপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব মাদক উপকূলে খালাস করে নানান কৌশলে মওজুদ করার পর সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব মাদক পাচার করে। হাজিরপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃত ইউনুচের স্ত্রী সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক তাকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় পৃথক-পৃথক মামলা হয়েছে।