৭৯ নাবিক ও জেলেসহ দুটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৭৯ নাবিক ও জেলেসহ মাছ ধরার দুটি ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় জাহাজ দুটিকে উড়িষ্যা অঞ্চলে একটি জেটিতে নিয়ে নোঙর করানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশের জলসীমায় খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকায় মাছ শিকার করছিল দেশীয় দুটি ফিশিং ট্রলার এফভি মেঘনা৫ ও এফভি লায়লা২। এফভি মেঘনা৫ ট্রলারটির মালিক চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং এফভি লায়লার মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং।

জাহাজ দুটি মাছ শিকার করা অবস্থায় নিকটস্থ ভারতীয় জলসীমা থেকে আসা ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজ তাদেরকে আটক করে ৭৯ জন নাবিক ও জেলেসহ ধরে নিয়ে যায়। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজটি বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলার দুটিকে ভারতীয় জলসীমা ধরে এগুতে বাধ্য করে এবং গতকাল বিকাল নাগাদ জাহাজ দুটি নিয়ে কোস্ট গার্ডের জাহাজটি ভারতের উড়িষ্যা অঞ্চলের একটি জেটিতে নোঙর করায়।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রোর নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের একটিসহ মোট দুটি মাছ ধরার জাহাজ ভারতীয় কোস্ট গার্ড ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর আমরা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করেছি। আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, নাবিক, জেলেসহ জাহাজ উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।

এফভি মেঘনা৫ জাহাজে নাবিক ও জেলে মিলে মোট ৩৭ জন এবং এফভি লায়লা২ জাহাজে নাবিক ও জেলেসহ ৪২ জন রয়েছেন। নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা সবাই ভালো আছে।

ফিশিং ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গত রাতে নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, জাহাজ দুটি উড়িষ্যার উপকূলে একটি জেটিতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জেলে এবং নাবিকেরা জাহাজেই রয়েছেন।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গত রাতে আজাদীকে বলেন, জাহাজ দুটি নাবিক ও জেলেসহ মিসিং হয়নি। এটাই এই মুহূর্তের আমাদের বড় সান্ত্বনা। ভারতীয় কোস্ট গার্ড তাদের নিয়ে গেছে এবং গতকাল দুপুরেও নাবিকদের সাথে জাহাজের মালিকপক্ষের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, তারা ভালো আছেন। এখন নাবিক ও জেলেসহ জাহাজ দুটি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ কাজ শুরু করেছে। আশা করি অচিরেই তারা ফিরে আসবেন।

সাগরে জলসীমা লাইন করা থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাহাজ দুটির যে লোকেশন আমাকে জানানো হয়েছে তাতে সেটি আমাদেরই জলসীমা। এখন সেখানে অন্য কোনো ভুল বোঝাবুঝি আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিতে নজর রেখেছি। আশা করি শীঘ্রই এই সংকটের সুরাহা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে অভ্যুত্থানে নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
পরবর্তী নিবন্ধআলিফ হত্যায় রিপন দাশসহ ৪ জন রিমান্ডে