ড্রেনেজ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ মাস্টারপ্ল্যান সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ৭১ খাল উদ্ধারে হাই কোর্টের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসন কর্তৃক চিহ্নিত চাক্তাই ভেড়া মার্কেটসহ ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মোহনা উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন। গতকাল নগরীর বহদ্দারহাটস্থ চাক্তাই খালের মোহনায় মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান। মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামে মহাসচিব কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, মোহরা কৃষ্ণখাল রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক খোরশেদ আলম প্রমুখ। চৌধুরী ফরিদ বলেন, ১৯৬৯ এর স্ট্রোম ড্রেনেইজ এন্ড ফ্লাড কন্ট্রোল মাস্টার প্ল্যান এন্ড ফেজিবিলিটি রিপোর্টে চট্টগ্রাম মহানগরীর কুমিরা স্টেশন থেকে কালুরঘাট ব্রিজের নিচ পর্যন্ত এলাকায় ৭১টি খাল চিহ্নিত করা আছে। উক্ত প্ল্যানে ৭১ খালের দৈর্ঘ্য প্রস্থ–গভীরতা পানি প্রবাহের সক্ষমতা নির্ধারণ করা আছে। তারপরও সিডিএ সিটি কর্পোরেশন কি করে ৩৬ কিংবা ৫৭ খালের কথা বলে। আর এস ক্ষতিয়ান অনুযায়ী ৭১ খাল উদ্ধার করা না হলে জোরদার আন্দোলন করা হবে। আলীউর রহমান বলেন, চাক্তাই রাজাখালী খালের মোহনা ভরাট করে ভেড়া মার্কেট ও মাছ বাজার গড়ে তোলায় উজান থেকে নদীর ভাটিতে মোহনা উঁচু হয়ে গেছে। যে কারণে বৃষ্টির পানি নদীতে যেতে বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবন্ধতার সৃষ্টি করে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও আরএস ম্যাপ অনুযায়ী একাত্তর খাল উদ্ধার ও খনন করা না হলে হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।