সৌদি আরবের অনুরোধে সত্তরের দশকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে যাওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। সৌদি আরব জানিয়েছে, এই সংখ্যাটি ৬৯ হাজার।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সৌদি উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসির বিন আবদুল আজিজ আল দাউদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরবে গিয়েছিল। এর সংখ্যা কত আমাদের জানা নেই। তারা (সৌদি আরব) আমাদেরকে জানিয়েছে তাদের সংখ্যা ৬৯ হাজার। খবর বিডিনিউজের।
এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি করার প্রস্তাব এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এতে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের জন্য এটি সুবিধাই হবে। সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট না থাকলে ধরা পড়া মানুষদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির এমন চুক্তিও আছে। তবে সেসব রোহিঙ্গাদের দেশটি ফেরত পাঠাবে না, তাদের কাগজপত্র নবায়ন করে দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তারা তো বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিল। তাদের পাসপোর্ট নাম–ঠিকানা যে রকম আছে সেরকমভাবে আমরা নবায়ন করে দেব। এই বিষয়ে আমরা ধীরে যাচ্ছি কেন কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কিনা, সেটা দেখার জন্য তারা (সৌদি প্রতিনিধি) এসেছিলেন। আলোচনায় আমাদের উভয় দেশের সুবিধা–অসুবিধার বিষয়গুলোও এসেছে।
বৈঠকে সৌদি আরবে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের সুবিধা–অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানান মন্ত্রী। পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও উঠে আসে।
২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন সৌদি সরকারের উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসির বিন আবদুল আজিজ আল দাউদ। তখনও তিনি সে দেশে অবস্থানরত ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার হাতে পাসপোর্ট না থাকার কথা উল্লেখ করেন। সৌদির পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়। পরে সৌদি আরবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি বা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়।