৬ বছরে দেড়শ কোটি টাকার রাজস্ব

নৌ-বাণিজ্য দপ্তর

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে নৌপথে চলাচলকারী ও সমুদ্রগামী নৌযানের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নৌ-বাণিজ্য দপ্তর। চট্টগ্রামের সরকারি প্রতিষ্ঠানটি থেকে ছাড়পত্র ও ফিটনেস নিয়ে সমুদ্রে যেতে হয় ভ্যাসেলগুলোকে। পাশাপাশি জাহাজ সংশ্লিষ্ট কারখানা, মেরিন ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠান করতেও অনুমোদন নিতে হয় নৌ-বািণজ্য দপ্তরের। এ ধরনের নানান কাজে গত ছয় বছরে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, কলকাতা মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের একটি শাখা অফিস হিসাবে ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রামে মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট চালু হয়। ভারত বিভাগের পরে, পাকিস্তান আমলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল প্রতিষ্ঠানটি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বন্দর, পরিবহন ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন বিভাগ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও পরবর্তীতে তা নৌ-মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যায়। বর্তমানে নৌ-বাণিজ্য দপ্তর (মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট) নৌ মন্ত্রণালয়ের নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে।
সূত্রে জানা গেছে, নৌযান সার্ভে, রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা পরিবর্তন, বাতিঘর পরিচালনার মাধ্যমে বিগত ৬ বছরে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা আয় করেছে নৌ-বাণিজ্য দপ্তর। তন্মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৪ কোটি ২ লক্ষ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৯ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩০ কোটি এক লক্ষ টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা, সর্বশেষ বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে প্রতিষ্ঠানটি। ৬৫টি সমুদ্রগামী জাহাজ বাদেও প্রায় ১৩ হাজারের মতো নিবন্ধিত নৌযানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
নৌ-বাণিজ্য দপ্তর চট্টগ্রামের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আজাদীকে বলেন, নৌ-বাণিজ্য দপ্তরটি সাধারণ মানুষ চিনতো না। এখন সময় পাল্টাচ্ছে। সমুদ্রে চলাচলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নানান বিধি নিষেধ মেনে চলাচল করতে হচ্ছে। এসবের নিয়ন্ত্রণ ও দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে নৌ বাণিজ্য দপ্তর।
তিনি বলেন, দপ্তরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেবার মানোন্নয়নের জন্য নানান কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ সেবা অনলাইন নির্ভর করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়েও দপ্তরের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিগত ৬ বছরে আমরা প্রায় দেড়শ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করেছি। রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করে আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনে সরকারি এ দপ্তরটি কাজ করে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজস্ব আদায়ের টার্গেট এবারও ফেল
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা