টানা ষষ্ঠ কার্যদিবস দরপতনে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। ছয় দিনের পতনে বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। সরকার পতনের পরপর সূচক, শেয়ারদর ও লেনদেনে লাফ দেওয়ার পর এই দরপতন শুরু হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসান বরং আরও বেড়েছে। শেয়ারদর বাড়তে থাকার পর মুনাফার আশায় বিনিয়োগ করে এখন বরং আটকে গেছেন তারা। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দরপতনের মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস গতকাল সোমবার শুরুতে উঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়ে বেলা ১২টার পর সূচক ছিল ইতিবাচক। আগের কয়েকদিনের মতই পতন হয় শেষ বেলায়। শেষ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের মতই ৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন। খবর বিডিনিউজের। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে দরপতন শুরু হলে ছয় দিনে কমেছে ১৭৪ পয়েন্ট। এই পতনে বাজারে তালিকাভুক্ত সব শেয়ারের মোট মূল্য বা বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ ৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে। গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর চার কর্মদিবসে সূচক ৭৮৬ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা যারা নতুন করে শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের সেই সিদ্ধান্ত এখন আর্থিক লোকসানের কারণ হয়েছে। লেনদেন নেমে এসেছে ৬২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়, গত ১১ অগাস্ট যা ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে দরপতন শুরু হওয়ার দিনও ছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকার বেশি। তালিকাভুক্ত ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর হারিয়েছে ৩০৭টির, বিপরীতে বেড়েছে ৬৭ টির ও আগের দরে লেনদেন হয় ২৫টির কোম্পানির শেয়ার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল আমিন বলেন, বাজারে বেশ কিছু সংস্কার স্কিম একসঙ্গে নিয়েছে বিএসইসি। ডিএসইসি বোর্ড সংস্কারের মত উদ্যোগ ও পুঁজিবাজারে অনিয়ম অনুসন্ধান করতে কমিটি গঠন করেছে। এই দুটি কমিটি গঠন সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। নতুন কমিশন বিনিয়োগকারীদের ভালো কোনো বার্তা দিতে পারছে না। এজন্য বিনিয়োগকারীরা আস্থায় নিতে পারছেন না, এতে বাজার সাফার করছে।