চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা ছয়টি জাপানি গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ জুন। নিলামকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। গাড়িসহ ৭৮ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ফেব্রিক্স এবং রাসায়নিক পদার্থ। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত দুই মাসে নিলামের গতি কিছুটা কমে যায়। তবে আবার চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ইয়ার্ড খালি করার ওপর জোর দিচ্ছে।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জুন নিলামে তোলা হচ্ছে চারটি জাপানি টয়োটা এক্সিও গাড়ি। এরমধ্যে দুটি সিলভার এবং দুটি সাদা কালারের। এছাড়া একটি টয়োটা প্রভোঙ এবং একটি মিনি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ধরণের নিট ও ওভেন ফেব্রিঙ, হাইড্রোলিক অ্যাসিড, গৃহস্থলীর সরঞ্জাম, ফিনিশিং এজেন্ট, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, কার্টন অ্যাকসোসরিজ, টেঙটাইল কেমিক্যাল, যন্ত্রাংশ, ওয়াশিং ক্যামিকেল, পেঁয়াজ, ড্রাগন ফ্রুট, ফুটওয়্যার এবং ব্যাটারি লিড।
জানা গেছে, গত ৩ জুন থেকে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়। চলবে আগামী ৮ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়া যাবে পরদিন ৯ জুন দুপুর ২টার মধ্যে। এরপর বেলা আড়াইটায় বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বঙ খোলা হবে। নিলাম উপলক্ষে বরাবরের মতোই কাস্টমসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) দপ্তরে দরপত্র জমা দেয়ার বঙ স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বন্দরে পড়ে থাকা আটককৃত এবং অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলামের মাধ্যমে বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নিলামের পাশাপাশি নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কাজও চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো চার্জ পায় না।