৬৪ বছর পর ব্রিটেনকে পদক এনে দিয়েছেন স্কারলেট মিউ জেনসেন। গ্রেট ব্রিটেনের স্কারলেট মিউ জেনসেন এক মাস আগেও অনিশ্চিত ছিলেন অলিম্পিকের জন্য। রানআপে সমস্যা হচ্ছিল। সিনক্রোনাইজাইড ডাইভে সঙ্গীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েই ছিল শঙ্কা। সঙ্গী ইয়াসমিন হারপারের সঙ্গে শুরুর দিকে বেশ ভুগেছেন। পিছিয়ে পড়ছিলেন ক্রমাগত। কিন্তু শেষ ডাইভে নাটকীয়ভাবে জয় করেছেন ব্রোঞ্জ পদক। অস্ট্রেলিয়ার দুই ডাইভার ম্যাডিসন কেনি এবং অ্যানাবেল স্মিথ শেষ ডাইভের আগপর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু একেবারে শেষে দেশকে এনে দিলেন ব্রোঞ্জ পদক। পদক নিশ্চিতের পর দুজনের চোখেই ছিল আনন্দের অশ্রু। তবে কিছুটা আবেগতাড়িত ছিলেন স্কারলেট, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। একমাস আগেও ভাবিনি আমি এখানে থাকব। বোর্ডের থাকতে পারা আর এটা (ব্রোঞ্জ পদক) নিয়ে ফিরতে পারা আমি এরচেয়ে ভাল কিছু ভাবতে পারছি না।’
স্কারলেটের এমন জয়ে মিশে আছে অন্য এক উপলক্ষ্য। আজকেই যে তার জন্মদিন। এমন বিশেষ দিনের আগে ডাইভিংয়ে যুক্তরাজ্যের ৬৪ বছরের পদকখরা কাটিয়েছেন। স্কারলেটের জন্য আনন্দের রেশ তাই দ্বিগুণ, ‘আমরা এটা নিয়েই ভাবছিলাম। আমাদের মেয়েরা এতগুলো বছর পদক নিতে পারেনি। তাই আজ আসার পথেই আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে চেয়েছি।’