৬০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে নিলামে বিক্রি

ইপিজেড ও সীতাকুণ্ড

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৭ জুলাই, ২০২৪ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরার দায়ে নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকা থেকে ৫০০ কেজি ও সীতাকুন্ডে ১০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। পরে মাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, ইপিজেডে জব্দ করা মাছগুলো ৯২ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। শুক্রবার আকমল আলী ঘাট এলাকায় নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযোগ আছে, নগরীর পাঁচটি ঘাট থেকে প্রতি রাতেই মাছ শিকারে সমুদ্রে যান জেলেরা। আর নিষিদ্ধ সময়ে আহরণ করা মাছ চোরাই পথে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। এই কাজে মদদ দেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ উপধারা () মোতাবেক সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ ও ক্রাশটাসিয়ান্স আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অভিযোগ এসেছে এই সময়ের মধ্যেই মাছ আহরণ চলছে। তাই অভিযান চালিয়ে আকমল আলী ঘাট থেকে ৫০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে জনসম্মুখে নিলাম ডেকে ৯২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জরীপ মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, ইপিজেড থানার উপপরিদর্শক মো. রাকিবুল আবেদীন এবং কোস্টগার্ড ইএ৩ পূর্ব জোন সেকশন ইনচার্জ এম এ আজিজ।

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুণ্ডে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরার দায়ে অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মাছ প্রকাশ্য নিলামে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার সলিমপুর এলাকায় মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোস্ট গার্ড কুমিরার কন্টেনজেন্ট কমান্ডার আবদুর গাফফার।

সামুদ্রিক মাছ জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ ও ক্রাশটাসিয়ান্স আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তা উপেক্ষা করে কিছু জেলে মাছ শিকার করছেন বলে তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে অভিযান চালানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল-২০২৪ সেমিস্টারের ক্লাস শুরু
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.) ওরশ সম্পন্ন