চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ গত মার্চ মাসে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলে শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে কেটে গেছে দীর্ঘ ৫ মাসেরও বেশি সময়। এমন অবস্থায় আদালতটিতে নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারক হলেন, মো. কবির উদ্দিন প্রমানিক। তিনি নড়াইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে তাকে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিয়ে এ পদায়ন করা হয়েছে। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই প্রজ্ঞানের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামের অপর দুটি আদালতে দুই বিচারক নিয়োগ পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরকে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য আর নেত্রকোনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশতাক আহাম্মদকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–১ এর বিচারক করা হয়েছে। এদিকে গতকাল জারি করা আরেক প্রজ্ঞাপনে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে দুজনকে পদোন্নতি দিয়ে চট্টগ্রামের পৃথক দুটি আদালতে পদায়ন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাদুজ্জামান ও শেরপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ করা হয়েছে। অপর একটি প্রজ্ঞাপনে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিনাত সুলতানা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খানকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব মো. সাইদুর রহমান গাজীকে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৫ এর বিচারক, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতকে চট্টগ্রামের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, কঙবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আবু হান্নানকে চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২ এর বিচারক মো. জাহিদুল হককে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক করা হয়। আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক ও সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন।