উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্ততি পর্বে পাঁচ বছর স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধাগুলো চাইছে বাংলাদেশ। সিডিপির আসন্ন ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার এক্সপার্ট গ্রুপ সভার এক বৈঠকে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন-সিডিপির কাছে এই আহ্বান জানিয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বা গ্রাজুয়েশনের মানদণ্ড পূরণ ও উত্তরণের সুপারিশ লাভ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সভার প্রস্তুতির অংশ হিসাবেই বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক করে সিডিপি। খবর বিডিনিউজের।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরণ প্রক্রিয়াকে টেকসই ও মসৃণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সিডিপির কাছে ২০২১ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদী প্রস্তুতিকালীন সময় চাওয়া হয়। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধাগুলো আরও বেশি সময় অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়।
১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোন দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করে। সিডিপির প্রতিবধান অনুযায়ী, উত্তরণের সুপারিশ লাভের পর একটি দেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিকালীন সময় ভোগ করতে পারে।
আগামী মাসে ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় উত্তরণের সুপারিশ পেলে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে সস্তা ঋণ পাওয়া এবং বিভিন্ন রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ফলে সেই সুবিধাগুলো উত্তরণের প্রস্তুতি পর্বে চাইছে বাংলাদেশ।