৫ দিনের মধ্যে ছাড়তে হবে রেলের জায়গার অবৈধ দখল

গণবিজ্ঞপ্তি জারি । অবৈধ স্থাপনা সরাতে হবে নিজ উদ্যোগে অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা পূর্বাঞ্চলে ৫শ’ একর জমি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ দখলদারদের কাছে দখলে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গা আগামী ৫ দিনের মধ্যে (আগামী ১০ ডিসেম্বর) ছাড়তে হবে। এছাড়া জায়গায় থাকা অবৈধ সকল ধরনের স্থাপনা সরাতে হবে নিজ উদ্যোগে। এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। অন্যথায় রেলের ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বছরের পর বছর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার একর ভূমি প্রভাবশালীরা রাতের আধারে অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এবার অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে এসব ভূমি উদ্ধারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভূমি শাখার সহকারী সচিব মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূসম্পত্তি বিভাগ থেকে জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে মোট জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ৪০১ একর। এর মধ্যে প্রায় ৫শ’ একর জমি বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে দখল করে রাজত্ব করছেন। বছরের পর বছর রেলের এই বিপুল পরিমাণ জমি অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়ে গেছে। এ জমির বর্তমান বাজার দর ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বলে জানা গেছে। অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকা রেলের এসব জমিতে বস্তির পাশাপাশি দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর ফলে বড় অঙ্কের রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার। এছাড়াও রেললাইনের দুইপাশের একর একর জমি দখল করে ভাসমান বস্তিদোকান গড়ে তোলার কারণে রেললাইনে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে।

এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূসম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রেলের বিপুল পরিমাণ জমি অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়ে গেছে। এগুলো সিডিউল অনুযায়ী উচ্ছেদের কার্যক্রম নেয়া না হলে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বছরের পর বছর অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে এসব জমি উদ্ধারের জন্য কার্যক্রম হাতে নিলেও পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। সবচেয়ে জরুরি হলোনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ। অনেক সময় উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নিলেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ না পেলে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয় না বলে জানান ভূসম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রেলের অবৈধ দখলদার ও ভূমি উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালাবেন বলে জানা গেছে। একই সাথে টিকিট কালোবাজারি রোধে নিয়মিত অভিযান করবেন বলেও জানা গেছে।

দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ রেলওয়ে অবৈধভাবে দখলকৃত ভূমি দখলমুক্ত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

গতকাল জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছয় ব্যাংকের এলসিতে শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা উঠল
পরবর্তী নিবন্ধ৮০ দিনের মধ্যে মহানগর ও উত্তরসহ ৬ জেলার কাউন্সিল করবে বিএনপি