৫ অর্থবছরে ১৮৮ নথিতে ১১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

পণ্যচালান খালাসের পর পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

আমদানি পণ্যের চালান খালাসের পর পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিটের (পিসিএ) মাধ্যমে চালানে কোনো ধরনের অসঙ্গতি পেলে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব আদায়ে দাবিনামা জারি করে থাকে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২০১৫-২০১৬ সাল থেকে পিসিএ’র যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমসে খালাস পরবর্তী পণ্যের চালান নিরীক্ষায় গত ৫ অর্থবছরে ১৮৮ নথিতে দাবিনামা জারির মাধ্যমে ফাঁকিকৃত ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। কাস্টমস কর্তারা বলছেন, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের আওতায় অনেক সময় পণ্যের নিয়মিত পরীক্ষণ ছাড়াই খালাস পর্যায়ে পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত চালান ছাড় করেন আমদানিকারকরা। এক্ষেত্রে আমদানিকারকদের সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় বেঁচে যায়। তবে এ সুবিধার অপব্যবহার করে অনেক আমদানিকারক রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থাকেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমসে পিসিএ শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৭৬টি নথি খালাস পরবর্তী নিরীক্ষা শেষে দাবিনামা জারির মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ১৯টি নথি নিরীক্ষার মাধ্যমে দাবিনামা জারি করে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই ১৪ মাসে ৯৫টি নথি নিরীক্ষায় রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৭৪টি নথি নিরীক্ষায় ফাঁকিকৃত রাজস্ব আদায় হয় ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
পিসিএ শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, উন্নত বিশ্বের কাস্টমসগুলোতে পিসিএ সিস্টেম বেইজ নিরীক্ষা অনেক বছর ধরে চলমান রয়েছে। যদিও আমাদের দেশে গত কয়েক বছর ধরে এটি চলছে। তবে যে ধারবাহিকতায় নথির নিরীক্ষা হওয়ার দরকার ছিল সেটি হয়নি। আবার দাবিনামা জারি করার ক্ষেত্রেও দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। অনেক সময় শুনানিতে আমদানিকারক কিংবা ওনাদের প্রতিনিধিরাও আসেন না। এতে প্রচুর সময়ক্ষেপন হয়। আবার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দাবিনামা জারি করা যায় না। কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে আত্মপক্ষ সমর্থণের সুযোগ দিতে হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার আবদুল আলীম দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রতি মাসে আমরা পিসিএ’র কাজ করছি। খালাস হওয়ার পরে পণ্য চালানের নথি নিরীক্ষায় কোনো ধরণের শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেলে আমরা সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে নোটিশের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দিই। এরপর নিয়ম মতে, শুনানি গ্রহণ শেষে শতভাগ নিশ্চিত হয়েই আমরা দাবিনামা জারি করে থাকি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, সরকারি রাজস্ব সুরক্ষায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। খালাসকালে অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এবং খালাস পরবর্তী নিরীক্ষার মাধ্যমে পিসিএ শাখা রাজস্ব সুরক্ষায় ভূমিকা রাখছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুলের সামনে মায়েদের আড্ডা বন্ধ হচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধসাক্ষী সিএনজি চালক কামালের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন