৫৫ দিন আগে অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি সেই পাহাড় কাটা

স্থানীয় কাউন্সিলর রাস্তার কাজটি করছেন : জেলা প্রশাসক

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

নগরের আকবর শাহ বেলতলী ঘোনায় মাত্র ৫৫ দিন আগে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। একজনকে কারাদণ্ড এবং পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। এরপরও বন্ধ হয়নি সেই পাহাড় কাটা। ফলাফল গতকাল পাহাড় ধসে একজন প্রাণ হারায়।

গতকাল দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজ যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে ১১ ফেব্রুয়ারি আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। তখন রাস্তা করার কাজ চলছিল, সেটা আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এরপরও পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। এখানে পাহাড় কাটায় কারা জড়িত জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যতদূর জানি স্থানীয় কাউন্সিলর রাস্তার কাজটি করছেন।’

আইনগত আর কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে পাহাড় কাটা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি নিয়মিত মামলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরও আমাদের সঙ্গে ছিল। গত সপ্তাহে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয় সেখানে আমি বলেছিলাম, এখানে পাহাড়গুলো কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। পাহাড় কাটতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এমনভাবে কাটা হয় যেন দুর্ঘটনা না ঘটে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। ওই অভিযানে হালিশহর ঈদগাহ এলাকার মো: শাহজাহান (৪০) কে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় ও ব্যবহৃত এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। পাশাপাশি পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক নিয়মিত মামলা করা হয়েছিল।

জানা গেছে, রেকর্ডীয় ভিত্তিতে পাহাড়টি প্রায় ১১ একর জায়গায় অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নামে চট্টগ্রাম মহানগরের আকবর শাহ এলাকার লটনয় পাহাড়তলী মৌজায় অবস্থিত।

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির অধীনে এডিবির অর্থায়নে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে সেখানে। ওই প্রকল্পের রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ করার সময় গতকাল দুর্ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পেছনে একটা হাউজিং সোসাইটি রয়েছে। সেখানে ভবন করার সময় কাটা মাটি স্তুপ করা হয়েছিল। সেগুলো ধসে পড়েছে। কাজের সময় নিরাপত্তার জন্য যেটা দরকার, সেটা করা হয়নি। কারো গাফেলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেল স্টেশন ফাঁকা, অনলাইনেই বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধউদ্ধার কার্যক্রম তদারকিতে ঘটনাস্থলে সিটি মেয়র