কক্সবাজার শহরের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির সময় সাগরে নিক্ষিপ্ত চার জেলের মধ্যে ৫৫ ঘণ্টা পর আরও এক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে তাকে সাগর থেকে ট্রলারযোগে কক্সবাজারে আনার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, উদ্ধার জেলে মো. জিয়ার বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে কঙবাজার শহরের কলাতলী উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের ১৪ বিউ (১৪ মিটার গভীরতা সম্পন্ন সাগর) নামক এলাকায় মাছ ধরার সময় খুরুশকুলের জকরিয়ার মালিকানাধীন এফবি হাসানসহ চারটি ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জলদস্যুরা ট্রলারগুলোর মাছ, জালসহ সবকিছু লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাতদের বাধা দিলে তারা জিয়াসহ এফবি হাসানের চার জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ করে। এরপর জিয়া ককশিট আঁকড়ে সাগরে ১৫ ঘণ্টা ভাসমান থাকার পর তাকে বাঁশখালীর একটি বোট উদ্ধার করে এবং কঙবাজারের একটি বোটের সহায়তায় তীরে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এই ঘটনায় রোববার দেলোয়ার হোসেন নামের এক জেলে জীবিত উদ্ধার হয়। তার বাড়ি কঙবাজার সদরের খুরুশকুলে। নিখোঁজ জেলেরা হলেন অলি আহমদ ও মো. আনিস। অলি আহমদ ঈদগাঁও এলাকার এবং মো. আনিস নোয়াখালীর বাসিন্দা।
