৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে নগরী গড়তে চাই : মেয়র

মেট্রোরেল মনোরেল ও স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময়

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৮ জুন, ২০২১ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর প্রকৃতিগতভাবে সৌন্দর্য্য আছে তা বিবেচনায় আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে একটি বাসযোগ্য নগরী গড়তে চাই। এক্ষেত্রে আমি বিশেষজ্ঞসহ সকল সেবাসংস্থার মতামত এবং পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আজকের এই মতবিনিময় সভা তারই একটি অংশ। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এমআরটি ব্যবস্থাপনায় মেট্রোরেল/মনোরেল ও স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সকল সেবাসংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। এ সময় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বাস্থই চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান আশিক ইমরান, স্থপতি জেরিনা হোসেন, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুণ, প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, চিটিগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, চউক’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহামুদুল হক, জেলা প্রশাসক প্রতিনিধি নাঈমা ইসলাম, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিশান লি:এর ম্যানেজার মো. মিনহাজ উদ্দীন, চায়না কোম্পানি (উইটেক) কান্ট্রি ম্যানেজার লি ম্যাং, হু চাও, কডোওয়ারি পরিচালক আবিদ রহমান তানভীর, মাওয়া গ্রুপের সরওয়ার উদ্দিন, মো. দিদার, কন্সালটেন্ট জেসমিন, ইঞ্জিনিয়ার মানষ রক্ষিত প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, মেট্রোরেল/মনোরেল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আজকের এই সভায় যে মতামতগুলো এসেছে তা বিবেচনায় নিয়ে চসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান। তিনি এ ধরণের সভার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্থপতি জেরিনা হোসেন বলেন, পরিবহন সেক্টরে শৃক্সখলা আনয়নের জন্য মেয়রের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা আবশ্যক। সাথে সাথে নগর উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনার জন্য প্ল্যানিং কমিটি গঠন করাও অপরিহার্য। প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুণ মেট্রোরেল/মনোরেল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞসহ সেবাসংস্থার মতামত গ্রহণ করার জন্য আজকের এই সভা আহ্বান করার জন্য মেয়রকে অভিনন্দন জানান। এই সভার আহ্বানে মেয়রের উদারতা এবং আন্তরিকতা প্রকাশ হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে মেয়রকে অভিভাবকের দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিতে হবে। স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, আমাদের চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে, মীরসরাই থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত শহরের যে ব্যাপ্তি হচ্ছে এ কথা মাথায় রাখতে হবে। প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, যে কোনো পরিকল্পনায় লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চউকের মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করে একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। কোনো উন্নয়ন কাজে ওভারলেপিং যেন না হয় সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, নগর উন্নয়নে নান্দনিক সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে হবে। যাতায়াত ব্যবস্থায় মেট্রোরেল বা মনোরেল যাই যুক্ত করা হোক না কেন নগরী আগামীতে হাটাহাজারী, আনোয়ারা, পটিয়া, সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ব্যাপ্তি হবে তা বিবেচনায় নিতে হবে। চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে মেট্রোরেল ও মনোরেল’র রুট সম্পর্কে জরিপের একটি খসড়া উপস্থাপন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচসিকে ১২ কর্মকর্তা কর্মচারীকে একযোগে বদলি
পরবর্তী নিবন্ধকাস্টমসে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি