পটিয়ায় রাতের আঁধারে পৌরসভার বাহুলী এলাকায় ৪ হাজার মিটার ডিস ও ওয়াইফাই লাইন কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ব্যবসায়ীরা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে পাহারা দিয়ে ও নতুন সংযোগ লাগানোর পরও বারবার কেটে দিচ্ছে ডিস ও ওয়াইফাই লাইনের সংযোগ। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন পরিবার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টিভি দেখতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা। এর ফলে গ্রাহকদের মাঝে ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে বাহুলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পটিয়া পৌরসভার সিএমসিএল সংযোগের ডিজিটাল সিস্টেম (পিডিএস) নামের ডিস ও ওয়াইফাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীর পৌরসভার বাহুলী ৭ নং ওয়ার্ড সরু মিয়া সওদাগরের বাড়ি হতে বাহুলী বাচা কলোনি এবং বাহুলী এলাকাধীন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন হতে বাহুলী সিকদার বাড়ি, কমিশনার বাড়ি, ভেলার বাড়ি, আমপুরার বাড়ি ও কাজী পাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪০০০ হাজার মিটার অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ তার এবং এম/নোডসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক সরঞ্জামাদি চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্যে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এসব এলাকায় ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা। এর পূর্বে উপজেলার জিরি ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকায়ও এ তার কাটা ও চুরি ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এ ঘটনার সুরাহা করতে পারেনি। যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে এ ঘটনাগুলো ঘটেই যাচ্ছে।
বাহুলী এলাকার ওয়াইফাই গ্রাহক মো. সোহেল জানান, ব্যক্তির সাথে সমস্যা থাকলেও জনসম্পৃক্ত এসব বিষয় নিয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতির কোনো মানে হয় না। এসব সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ করা প্রশাসন ও স্থানীয়দের খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে ডিজিটাল সিস্টেম (পিডিএস) নামে ডিস ও ওয়াইফাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, ২২ বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। এর ফলে আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহক সেবায়ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। এ ঘটনায় আমি পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এলাকায় গিয়ে ঘটনা তদন্ত করেছে।
পটিয়া থানার উপ–পরিদর্শক মো. আসাদ বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ওসি স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এলাকায় গিয়ে ঘটনা তদন্তে করে বিভিন্ন এলাকায় ডিস ও ওয়াইফাই তার কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এলাকার কয়েকটি স্পটে সিসি ক্যামরা রয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে।