করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নগরীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বুধবার দিনভর পরিচালিত এসব অভিযানে ৫৪ ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। তিনি ৭ মামলায় ৭ জনকে ৭শ টাকা জরিমানা করেন। নগরীর হকার্স মার্কেট ও রিয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়েছেন আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। মাস্ক না পরার কারণে তিনি ২০ ব্যাক্তিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন অভিযান পরিচালনা করেন নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকায়। তিনি ১৬ জনকেব ১৬ মামলায় ২ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করে। এসময় তিনি হকার, ভিক্ষুক, পথচারী, বাসচালক, রিকশাচালকদের মাঝে প্রায় ২০০টি মাস্কও বিতরণ করেন। অন্যদিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী। অভিযানে তিনি ৯ মামলায় ৯ জনকে ২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করেন। এসময় তিনিও প্রায় ৩০০টি মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘করোনার সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভকে সামনে রেখে মানুষের মাঝে সচেতনা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, বিপনি বিতান, শপিংমল, বাস স্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনের অভিযানে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। এখন বেশিরভাগ মানুষকে বাইরে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাস্ক পরতে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। যারা মাস্ক পরতে অবহেলা করছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষকে মাস্ক দেয়া হচ্ছে। করোনাকালীন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।