পটিয়ায় নির্মাণাধীন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে ডাকাত দল। প্রায় ২০ জনের ডাকাত দলটি নির্মাণাধীন এ ফ্যাক্টরির বাউন্ডারি ওয়াল টপকিয়ে এবং ওয়ালের নীচে দিয়ে সুরঙ্গ করে ভিতরে প্রবেশ করে ফ্যাক্টরির সাবস্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ মেশিন এবং ফায়ার ডোরের লক ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ডাকাত দল একটি ট্রাক ও হাইচ করে মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরির গেটে রাখলেও খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মালামাল রেখেই পালিয়ে যায় ডাকাতরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকায় নির্মাণাধীন কে এম এস গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে। ফ্যাক্টরিটি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্যাক্টরিতে নাইটগার্ডসহ ৬জন কর্মচারী ছিলেন। ডাকাত দল ভিতরে ঢুকে ৪জন নাইটগার্ডের চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। টের পেয়ে ফ্যাক্টরির টাইলস মিস্ত্রি মো. সাহাদাত একটি সিঁডির নীচে লুকিয়ে থাকেন। অপরজন ফ্যাক্টরির স্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম একটি বাথরুমে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টরির টাইলস মিস্ত্রি মো. সাহাদাত জানান, রাতে প্রায় ২০জনের একটি ডাকাত দল ফ্যাক্টরিতে ঢুকে। তাদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্রসহ রাম দা ও কিরিচ ছিল। কয়েকজন নাইটগার্ডকে মারধর করার শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় জানালা দিয়ে বাইরে ডাকাত আসার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি একটি বাথরুমে আশ্রয় নিই এবং মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে দিই। ডাকাতরা আমার নাম ধরে আমাকে খুঁজতে থাকে। এসময় তারা ফ্যাক্টরির ফায়ার ডোর, সাব স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান মেশিন ভাঙচুর করে এবং মূল্যবান ক্যাবল কাটার দিয়ে কেটে ফেলে। তাছাড়া ফ্যাক্টরির বিভিন্ন জিনিসপত্র গাড়িতে ওঠানোর জন্য গেটে রাখে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। এতে আমাদের ফ্যাক্টরির ৩০–৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও গত ৪ নভেম্বর একইভাবে একটি ডাকাত দল ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। গতকালের এ ঘটনায়ও ফ্যাক্টরির দারোয়ান বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের ধারণা, পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, পুলিশ খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।