নগরীর ষোলশহর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়কে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ নামে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্র ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী। গতকালের এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
কর্মসূচি চলাকালে শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না–সহ নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কর্মসূচি শেষে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কর্মসূচি সফল করতে গতকাল বিকাল তিনটা থেকে ষোলশহর মোড়ে জড়ো হতে থাকে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে হাজারো শিক্ষার্থীতে ভরে উঠে ষোলশহর মোড়। সেখান থেকে প্রথমে দুই নম্বর গেট এবং পরে মুরাদপুরের উদ্দেশ্যে রোডমার্চটি যায়। এরপর বহদ্দারহাট গিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শেষ হয়। চার দফা দাবির এ কর্মসূচি বিকাল চারটায় সমাপ্ত ঘোষণা করেন সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। প্রশাসনের সব কাঠামো থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে। শিক্ষার্থী হত্যার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। যে চার দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রেজিস্ট্যান্স উইক নামের নতুন কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ১. ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন। ২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা–ডাকাতি–লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ–অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া। ৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা–মামলা–হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা। ৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।