৪৯ লাখ টাকার এলইডির আলো কম, তাই গোল বাল্ব

কাজীর দেউড়ি-লালখান বাজার অংশ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

৪৯ লাখ টাকা খরচ করে লাগানো এলইডি বাতির আলো কম! তাই আলো বাড়াতে নতুন করে ‘গোল বাল্ব’ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নগরের এস এস খালেদ রোডের কাজীর দেউড়ি থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত অংশে এ গোল বাল্ব লাগানো হবে। বাল্ব লাগানোর জন্য ইতোমধ্যে সড়কটির ফুটপাতে কয়েকটি অংশে পিলার স্থাপন করা হয়েছে।

চসিকের বিদ্যুৎ শাখা সূত্রে জানা গেছে, কাজীর দেউড়ি থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত অংশে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটির দুই পাশের ফুটপাতে ১০০ ওয়াটের ৫০টি বাল্ব লাগানো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে সরাসরি সংস্থাটির বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি বাল্ব লাগানোর পর আলো বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হবে। আলো বাড়লে পরে ঠিকাদারের মাধ্যমে বাকি বাল্বগুলো লাগানো হবে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ মে ৪৯ লাখ টাকা খরচ করে কাজীর দেউড়ি থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত লাগানো ১০০টি এলইডি বাতির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এর মধ্যে এসএস খালেদ রোডে স্থাপন করা হয় ৭৮ ওয়াটের ৬০টি এলইডি বাতি এবং বাকি ৪০টি এলইডি বাতি ছিল ১১৫ ওয়াটের। এর আগে সেখানে ১৫০ ওয়াটের সোডিয়াম বাতি ছিল। উদ্বোধনের সময় চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল, এলইডি বাতিগুলোর ওয়াট কম হলেও আলো সোডিয়াম বাতির চেয়ে বেশি হবে। তবে ছয় বছর পেরুতেই সেখানে নতুন করে বাল্ব লাগানোর উদ্যোগ নেয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ শুরুতে যাচাই-বাছাই না করায় এখন নতুন বাল্ব লাগানোর মাধ্যমে অর্থের অপচয় হচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন তোলেন।

এ বিষয়ে চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ আজাদীকে বলেন, লালখান বাজার থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে স্ট্রিট লাগানো হবে। এই অংশটার মধ্যে সবসময় লোকজন থাকে এবং মানুষজন চলাফেরা করে। এই রাস্তা ব্যবহার করে সার্কিট হাউজে ভিভিআইপি এবং ভিআইপিরা আসা-যাওয়া করেন। তাছাড়া সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও আছে। তাই মেয়র মহোদয় সেখানে আলো বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সড়কটির মিডিয়ানে লাইট আছে। অনেক সময় গাছের জন্য পুরো সড়ক আলোকিত হয় না। তাই আলো বাড়ানো হচ্ছে। বাতিগুলো লাগানো হবে নিজস্ব অর্থায়নে। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি লাগাচ্ছি। সেগুলোতে যদি পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যায় তাহলে দরপত্রের মাধ্যমে বাকি বাতিগুলো স্থাপন করা হবে। কত টাকা খরচ হবে জানতে চাইলে বলেন, এখনো প্রাক্কলন চূড়ান্ত হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রফি কার হাতে ফয়সালা আজ
পরবর্তী নিবন্ধএবার আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি, মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে