৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী সরানোর নির্দেশ

চট্টগ্রামের ১৬ আসন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে আজ থেকে। দায়িত্ব বণ্টনের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে তারা কাজ করবেন। এই ব্যাপারে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক গতকাল রাতে আজাদীকে জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী বা সংশ্লিদের সব ধরনের আগাম প্রচারসামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার সাথে সাথে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। এখনো প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও এবং এসিল্যান্ড রয়েছে। নগরীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ রয়েছে।

আজ (শুক্রবার) থেকে নির্বাচনী মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের ২ দিন পর পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি উপজেলা/থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রতি উপজেলা/থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী সরানোর নির্দেশ : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী বা সংশ্লিদের সব ধরনের আগাম প্রচারসামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে গত বুধবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচারসামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন

সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ে উপর্যুক্ত প্রচারণাসামগ্রী অপসারণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্দেশনা মোতাবেক ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আগাম প্রচারসামগ্রী অপসারণ করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। অন্যথায় নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের আগাম নির্বাচনী সামগ্রী অপসারণ করছেন কিনা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ আজ থেকে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিবেশ রক্ষায় কঠোর আইন চান মেয়র, উদাহরণ কানাডার
পরবর্তী নিবন্ধএটি প্রাতিষ্ঠানিক ও ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ