নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য মোট ৪৪ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি করা হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক প্রকাশিত খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ১৯৫৯টি ভোটকেন্দ্র ও ১২৬৫৬টি ভোটকক্ষ (বুথ) নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৯৫৯টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ১৯৫৯ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ১২৬৫৬টি বুথের জন্য ১২৬৫৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ২৫৩১২জন পোলিং অফিসারসহ আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি করা হবে। এর জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রামের সকল সরকারি–আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। সব মিলে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য মোট ৪৪ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরি করা হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ আজাদীকে বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের ব্যাপারে আমরা প্রতিটি সরকারি–আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে–শিক্ষক–কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো শুরু করেছি।
নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ৬৪টি ভোটকেন্দ্র এবং ১০৭৬টি ভোট কক্ষ কমেছে।