একশো বছর পর আবারো একটা লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখালো শ্রীলংকা। মাত্র ৮৩ বল! এর মধ্যেই কুপোকাত শ্রীলংকা। দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেনের তোপে পড়ে মাত্র ৪২ রানে অলআউট হয়ে গেল তারা। যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। বলের হিসেবে এর কম বলে অলআউট হওয়ার নজির কেবল একটি। ১০০ বছর আগে ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৩ বলে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রেকর্ডের লজ্জা থেকে একটুর জন্য নিজেদের নাম সরাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ডারবান টেস্টে প্রথম ইনিংসে তারাও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল না। গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে। কিন্তু সেখানে শ্রীলংকা যে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে না তা কে ভেবেছিল। মাত্র ১৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ দুমড়ে মুচড়ে দেন ইয়ানসেন। ১৯০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার হিউ ট্রাম্বলের পর প্রথম বোলার হিসেবে ৭ ওভারের ভেতর ৭ উইকেট নেওয়ার ইতিহাস গড়লেন বাঁহাতি এই পেসার। টেস্ট ইতিহাসে শ্রীলংকার সংগ্রহটি যৌথভাবে ষষ্ঠ সর্বনিম্ন। নিজেদের ৪২ বছরের ইতিহাসে এর আগে কখনোই ৭০ রানের নিচে অলআউট হয়নি তারা। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যান্ডিতে অলআউট হয়েছিল ৭১ রানে। সেটাই ছিল আগের সর্বনিম্ন।
কিন্তু গতকাল সেই রেকর্ড আর রক্ষা করতে পারেনি। কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে নতুন বলে দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরেন কাগিসো রাবাদা, ইয়ানসেন ও গেরাল্ড কুটসিয়া। বিশেষ করে ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার ইয়ানসেন আবির্ভূত হন দানবীয় রূপে। একে একে তিনি শিকার করেন পাথুম নিশাঙ্কা, দীনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, প্রভাথ জয়সুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্দো ও আসিথা ফার্নান্দোকে। লংকানদের হয়ে পাঁচজন ব্যাটারই সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল দুজন। সর্বোচ্চ ১৩ রান আসে কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। এছাড়া দশ রান করে অপরাজিত থাকেন লাহিরু কুমারা। পুরো ইনিংসে চার এসেছে কেবল ছয়টি। ছক্কা মারতে পারেননি কোনো ব্যাটারই। ইয়ানসেন বাদে কুটসিয়া দুটি ও ধ্বংসযজ্ঞের শুরু করা রাবাদা নেন একটি উইকেট। প্রোটিয়াদের ১৪৯ রানের লিড পাওয়ার পেছনে বড় কৃতিত্ব আছে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমারও। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১১৭ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।