চট্টগ্রাম উত্তরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কাউচার। আর নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ–সচিব সুমন বড়ুয়া। দুজনের বয়স ৬০ বছর ছুঁইছুঁই। তাদের দেখা হয় না অনেক বছর। ১৯৮২ সালে দুজন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিদ্যালয় ছেড়েছেন। তারপর আর দেখা হয়নি। মাঝখানে জীবন থেকে হারিয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। শৈশবের স্মৃতি জড়ানো সেই বিদ্যাপীঠের বন্ধুকে ৪২ বছর পর কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দুজন। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
রাঙ্গুনিয়ার পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮২ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা উৎসবে যোগ দিতে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রাক্তন এই দুই শিক্ষার্থী। শুধু এই দুজন নন, ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠের ৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় এসে গতকাল শনিবার দিনভর আবেগ, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হন ব্যাচটির শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। রাঙ্গুনিয়ার পার্শ্ববর্তী কাপ্তাইয়ের প্রজেক্টের ভেতর ও প্রশান্তি পর্যটন স্পটে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে হাঁড়ি ভাঙা, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, চেয়ার ও বালিশ খেলাসহ গ্রামীণ বিভিন্ন খেলাধুলা, টিভি–বেতার শিল্পীদের কণ্ঠে গান ও পাহাড়ি নাচের তালে পুনর্মিলনী উৎসবে মাতেন ৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘদিন পর বন্ধুরা একত্র হয়ে জমজমাট আড্ডা, হাসি–আনন্দে দিন কাটিয়ে দেন। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন ৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এস এম কাউচার, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, সুমন বড়ুয়া, আবদুল লতিফ, টুবুল তালুকদার, আবদুল খালেক, আশুতোষ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ মুফিজুল হক, তপন দত্ত, সৈয়দুর রহমান, বিশু বড়ুয়া, অনুপ কুমার দাশ, সুকুমার বিকাশ শীল, পংকজ দাশ, ফারুকুল আজম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ আজিম চৌধুরী, নাছিমা আক্তার, দিলদার বেগম, রুবিনা আকতার, সেলিনা আকতার, সুমিত্রা বড়ুয়া, শামসুল আলম, আবু জাফর প্রমুখ। শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া র্যাফল ড্র’র মাধ্যমে আগত বন্ধু–বান্ধব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
