রাজধানীর কেরানিগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চীন থেকে পলিঅ্যালমুনিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় ৪ হাজার ২০০ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি বা সোডিয়াম সাইক্লামেট আমদানি করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিআইসি সেলের সহায়তায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা টিম এসব পণ্য আটক করেছে। গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার তারেক মাহমুদ পণ্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকারক ২২ হাজার ৮৮ কেজি (২২ টন) পলিঅ্যামুলিনিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় এক কন্টেনার পণ্য আমদানি করে। যা ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস এসব পণ্যের খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে। গত ৬ নভেম্বর শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় দুই ধরণের পণ্যের উপস্থিতি দেখা যায়। এসব পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষায় ১৭ হাজার ৮০০ কেজি পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এবং ৪ হাজার ২০০ কেজি সোডিয়াম সাইক্লামেট বা ঘনচিনির বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাসায়নিক পরীক্ষকরা। নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর বিধান মোতাবেক পণ্যচালানটি কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২৮ অক্টোবর দুটি পৃথক চালানে প্রয় ১০০ টন আমদানি নিষিদ্ধ ঘন চিনি জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হয়েছে।












