আসামি হাজির, সাক্ষী নেই। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদন। সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির এক যুগ আগের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলার ধার্য তারিখে এ ছিল অবস্থা। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে এ চিত্র দেখা যায়। আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২৪ জুন এ মামলায় আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। এর এক যুগ পর গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয় ৪১ জনকে। তাদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত একজনও আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেননি।আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুসা আজাদীকে বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত এ মামলা উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত উক্ত মামলায় অনেকগুলো ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। করোনায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এখন আদালতের কার্যক্রম সচল হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখে আমরা সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার চেষ্টা করব। ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বদি, স্ত্রী শাহীন আকতার ও মেয়ে সামিয়া রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকা। কিন্তু দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ও ২০০৬ থেকে ২০০৭ কর বর্ষের রিটার্নে বদি যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা ও ৩১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮০ টাকা। সে হিসেবে বদি সর্বমোট ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন। আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।