দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থলের মাত্র তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা হওয়ার জন্য ৯ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের লোকজন অপেক্ষা করছে দশকের পর দশক। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি ভেঙে খানা খন্দক হয়ে কূপে পরিণত হয়েছে।
নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়, নির্বাচিত হয় জনপ্রতিনিধি কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। এমন পরিস্থিতি নিয়ে বসবাস করে আসছেন লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ও পুটিবিলা ইউনিয়নের নয় গ্রামের মানুষ। প্রতিবারই নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পাকা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবার পর আর খবর রাখেন না। ফলে দুই ইউপির মানুষ নানা দুর্ভোগ আর দুর্যোগকে সঙ্গী করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এই কাঁচা সড়ক নিয়ে। বর্তমানে এই কাঁচা সড়কও ভেঙে খানা খন্দক হয়ে কূপে পরিণত হয়েছে। এই তিন কিলোমিটার সড়কটিকে দেখার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে পুটিবিলার পহরচাদা বড়ুয়া পাড়া, মাইল্যা কাটা, খনির পাড়া, আদর্শ গ্রাম, মাদাকাটা জোড়, আলী ঘোনা, খেদার ঘোনা, পশ্চিম পহরচান্দা, পূর্ব পহরচান্দা এলাকার প্রায় ৫ হাজার পরিবারের মানুষ চলাচল করে। সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। আর চলতি বর্ষা মৌসুমে এ সড়কের অবস্থা আরো শোচনীয়। পানি আর কাঁদায় একাকার হয়ে সড়কটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় রোগীদের ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমেও ধূলাবালির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের। সড়কটি সংস্কারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়কে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটির নাজুক অবস্থার কারণে পরিবহন খরচ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
পহরচাদা শালবন বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অরুণ কান্তি বড়ুয়া জানান, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত গাবতল-পহরচাদা সড়কটির বেহাল অবস্থা। একাধিক জনপ্রতিনিধির কাছে শরনাপন্ন হয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সরকার ও জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হয়, কিন্তু এই সড়কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। হচ্ছে না।
লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম. ইব্রাহিম কবির জানান, কলাউজান ও পুটিবিলা ইউনিয়নের সংযোগস্থল গাবতল-পহরচাদা সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। সড়কটির বেহাল দশার কারণে স্থানীয়দের যাতায়াত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিষয়টি অবগত হয়েছি। স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা নেজাম উদ্দিন নদভীর নির্দেশে চলতি অর্থ বছরে উক্ত সড়কটি সংস্কারপূর্বক স্থানীয়দের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।