টেকনাফে ৪০ দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে তীব্র স্রোতযুক্ত নদীতে ঝাঁপ দিয়ে রুমানা বেগম রুমি (২৯) নামের এক মা আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পর তার মরদেহ উদ্ধার হলেও শিশুটি নিখোঁজ রয়েছে। এর আগে ওই মা তার পাঁচ বছর বয়সী অপর শিশুকে বিষপান করান। বর্তমানে ওই শিশুটি হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বেইঙ্গাপাড়া গ্রামে ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি।
নিহত গৃহবধূ রুমানা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার মৃত নজির আহমদের মেয়ে ও সাবরাং ইউনিয়নের বেইঙ্গাপাড়ার আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী। রাজ্জাক তাকে ছেড়ে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করায় সৃষ্ট পারিবারিক বিরোধের জের থেকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সেলিম বলেন, আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন সৌদি আরব ছিলেন। দেশে ফিরে এসে জীবিকা নির্বাহের জন্য কিছুদিন চট্টগ্রামে কাজ করেন। পরে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন বলে শুনেছি। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে এটিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহ হতো বলে জানতে পেরেছি। আজ (বুধবার) সকালে মোবাইলে স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের খালে ৪০ দিন বয়সী শিশুকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমানা। তার লাশ পাওয়া গেলেও শিশুটি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এর আগে রুমানা তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিনকে বিষ পান করান। শিশুটি বর্তমানে কঙবাজার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা উত্তম কুমার ব্যানার্জি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উপস্থিত হয়ে রুমানার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি বাড়ি থেকে তার এক সন্তান মো. ইয়াছিনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কোলের শিশুটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ তার দুই সন্তানসহ আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে থানায় এখনও কোনো ধরনের অভিযোগ দায়ের হয়নি।