নগরীর চান্দগাঁওয়ে টার্ফ (কৃত্রিম ঘাসে তৈরী খেলার মাঠ) দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবদলকর্মী জুবায়ের উদ্দিন বাবু নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম নাজিম উদ্দিন। তিনি চান্দগাঁওয়ের মৌলবী পুকুর পাড় এলাকার শফি ভান্ডারীর ছেলে এবং ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে চান্দগাঁও এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম জুবায়ের উদ্দিন বাবুর ভগ্নিপতি নাজিম উদ্দিন গতকাল মামলাটি দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, নুরুল আমিন, জাশেদুর রহমান নওশাদ, মো. আলফাজ, আবির রহমান রুবেল, ফয়সাল মোরশেদ, মো. ফাহিম, মো. জাহেদ, মো. নয়ন, মো. হাছান প্রকাশ ঢাকাইয়া হাছান, মো. পারভেজ, জয়নাল আবেদিন সাকিব, নাজিম উদ্দিন, মো. হাকিম, মো. আমজাদ, মো. সালাউদ্দিন, মুনতাছির মাহিন, কুতুব উদ্দিন জাহেদ, আরিফ মঈনুদ্দিন, মো. সোহান, মো. ফাহিম, মো. খোকন, মো. সাকিব, রনি, সাইমন, আবছার, রিয়াদ, খলিল, জুয়েল, সোহেল, রিয়াদ, খোকন, মো. আবছার, আলী খাঁন লিটন, নেজাম উদ্দিন, মহিউদ্দিন বাবু, ইরফান, মিরাজ, তারেক, মো. মুরসালিন ও ফারুক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের পাশেই চান্দগাঁও স্পোর্টস জোন নামে একটি টার্ফ উদ্বোধনে যান জুবায়ের উদ্দিন বাবু। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খেলার আগ মুহূর্তে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ টার্ফের মালিকপক্ষ, আয়োজক কমিটি ও দর্শকদের ওপর হামলা করে। এ সময় টার্ফের ভেতরে থাকা বাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন আজাদীকে বলেন, ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম নাজিম উদ্দিন। তিনি ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চারদিনের রিমান্ড চেয়েছি। রোববার (আজ) রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ঘটনায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি মো. আফতাব উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ভিকটিম জুবায়ের উদ্দিন বাবু নগর যুবদলের (সদ্য বিলুপ্ত) সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।