৪শ’ বছরের ঐতিহ্যে ইতি

চিঠি বিলি বন্ধ করছে ডেনমার্কের ডাক বিভাগ

| সোমবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দ্বারে চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটবে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা চিঠি বিলির ঐতিহ্যের। চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এবছরের শুরুর দিকে জানিয়েছিল পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই কোম্পানি গড়ে ওঠে। খবর বিডিনিউজের।

ড্যানিশ সমাজের বাড়তে থাকা ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে পোস্টনর্ড বলেছিল, এর ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১,৫০০ কর্মী ছাঁটাই হবে এবং রাস্তা থেকে ১, ৫০০টি লাল রঙের পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে। ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ডিজিটাল দেশ আখ্যা দিয়ে কোম্পানিটি জানায়, সেখানে চিঠির চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে, অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে নেওয়া এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে বিক্রি করা হবে। পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি করে যাবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা জানায়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা এরপরও চিঠি পাঠাতে পারবে। ডাও নামের এক বেসরকারি কোম্পানি ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার আওতা বাড়াচ্ছে। এবছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করবে এবং আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে। তবে সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট ডাও শপে গিয়ে চিঠি পোস্ট করে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। তাছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে। ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হয়ে আসছে ১৬২৪ সাল থেকে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। তবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফেরার আলামত দেখা যাচ্ছে। ডাওয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ ক্রেমলিনের