৪শ কোটি টাকা পরিশোধ না করে ব্যবসায়ী ইছা বাদশা কানাডায়

ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি

হাবীবুর রহমান | রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

ওয়ান ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ৪শ কোটি টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইছা বাদশা প্রকাশ মহসিন। ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে তার ওপর পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিতে আদেশও দিয়েছেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক পন্থায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত সূত্র আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

আদালতটির বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ওয়ান ব্যাংকের ২০০ কোটি ৮৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন ব্যাংকের আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সব মিলিয়ে তার কাছ থেকে ওয়ান ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ৪শ কোটি টাকা পায়। খুলশীর বাসিন্দা ইছা বাদশা খাতুনগঞ্জের পরিচিত ব্যবসায়ী বলে জানান তিনি।

আদালত সূত্র জানায়, ঋণখেলাপি ইছা বাদশাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ১০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ইছা বাদশা খাতুনঞ্জের মেসার্স মুছা এন্ড ইছা ব্রাদার্স ও মেসার্স জুমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ব্বাধিকারী। তিনি ওয়ান ব্যাংক জুবিলী রোড শাখা থেকে ২০০ কোটি ৮৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী ঋণের দায় পরিশোধ না করায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী উক্ত ঋণকে বেড অ্যান্ড লস হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইছা বাদশার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে অর্থঋণ জারী মামলা (নং ৭৪/২০২১) দায়ের করা হয়। এছাড়া তার এবং তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

৯ মে আদালতের রায়ে খেলাপি ঋণ আদায়ে বিচারিক কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে ইছা বাদশাকে কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আদেশ প্রদান করা হয়। রায়ে তার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩এর ৩৪() ধারা মোতাবেক ৬ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ প্রদান করা হয়। এই আটকাদেশ কার্যকর করার জন্য অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩এর ৩৫ ধারা মোতাবেক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মগোপনে থাকা আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় গোসলে নেমে পুকুরে ডুবল ২ স্কুলছাত্রী, একজনের মৃত্যু