বাস, লঞ্চ, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন ও টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।
এছাড়া জনপরিসরে ৮৭ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার যৌন হয়রানির শিকার হন। আর ৬৬ শতাংশ নারী কয়েকবার এবং ৭ শতাংশ নারী বারবার যৌন হয়রানিসহ নানা হয়রানির শিকার হন। তবে হয়রানির শিকার ৩৬ শতাংশ নারী প্রতিবাদ করেছেন বলে অনলাইনে পরিচালিত ওই জরিপে উঠে এসেছে। গতকাল ‘জনস্থানে নিরাপত্তা ক্যাম্পেইন’ সম্পর্কিত অনলাইন জরিপটির ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের রেকর্ড প্রচার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেঙট মেসেজ, ই মেইলের মাধ্যমে ২৪ জেলার ৫ হাজার ১৮৭ জন নারীর অংশগ্রহণে ইউএনডিপি বাংলাদেশ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) যৌথ উদ্যোগে জরিপটি পরিচালিত হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ২৩ শতাংশ নারী রাস্তাঘাটে ও ১১ শতাংশ মার্কেট ও শপিং মলে হয়রানির শিকার হন। আর
১১ শতাংশ নারী অনলাইন প্লাটফর্মে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ নারী উত্ত্যক্তের, ১২ শতাংশ অপ্রত্যাশিত স্পর্শ ও ১১ শতাংশ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। এছাড়া ৪২ ভাগ নারী ইভটিজিংয়ের শিকার হন। ১৭ ভাগ নারী পাবলিক প্লেসে অশোভন আচরণের এবং ১২ শতাংশ অপ্রত্যাশিত স্পর্শের শিকার হন।
জরিপে অংশ নেওয়া হয়রানির শিকার ৩৬ শতাংশ নারী প্রতিবাদ করেছেন। ৩৪ শতাংশ নারী কিছুই করেননি। ৭ শতাংশ নারী পরিবারকে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং ৫ শতাংশ মানুষ আশেপাশের মানুষের সহায়তা চেয়েছেন। হয়রানির শিকার মাত্র ১ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন, ১ শতাংশ ৯৯৯ এ ফোন করেছেন এবং ১ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
জরিপে দেখা যায়, ৫৭ শতাংশ নারী গণপরিবহণকে সবচেয়ে অনিরাপদ বলে মনে করছেন। অপরদিকে প্রকাশ্যে হয়রানির শিকার হয়েও ৪৪ শতাংশ নারী কোনও সহযোগিতা পাননি।
