৩৫ সেবাপ্রত্যাশীর সমস্যা সমাধানের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন

জেলা প্রশাসকের গণশুনানি | বৃহস্পতিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ

গণশুনানি করে সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা শোনা এবং সমাধান করা জেলা প্রশাসকদের কাজেরই অংশ। প্রতি বুধবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক গণশুনানি করে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীদের নানা সমস্যা শুনেন এবং সমাধান করে দেন।

তবে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সেবাপ্রত্যাশীদের প্রতি একটু বেশিই আন্তরিকচট্টগ্রামে তিনি যোগদানের পর থেকে বিষয়টি দিনদিন স্পষ্টই হচ্ছে। পূর্বের ন্যায় গতকাল বুধবারও তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আগত সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকদের আবেদন, অভাব ও অভিযোগের বিষয়ে গণশুনানি গ্রহণ করেন। উক্ত গণশুনানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার ৩৫ জন সেবা প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেন। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসকও তাদের সমস্যাগুলো আন্তরিকতার সাথে শুনেছেন। পাশাপাশি সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনাও প্রদান করেন তিনি।

জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়ার পাশাপাশি গুরুতর অসুস্থ ৩ জন নাগরিককে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক এবং কিছু আবেদন, অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা প্রদান ও সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন এবং ফলাফল সেবাপ্রত্যাশীকে অবহিত করা হয়। জেলা প্রশাসনসূত্র আরো জানায়, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়াদের একজন হলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ফৌজদারহাটের ডিসি পার্কের নিরাপত্তা প্রহরী। দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প বেতনে দায়িত্ব পালন করেও পরিবারের নিত্যপ্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। আরও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে তার বৃদ্ধ শাশুড়ি মরিয়ম বেগমযাকে নিজের সন্তানের মতো দেখাশোনা করেন জাহাঙ্গীর, কারণ তার কোনো ছেলে সন্তান নেই। গত ১৬ আগস্ট জাহাঙ্গীরের ছেলে তানজিদ আলমকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মরিয়ম বেগম। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেও চলমান চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় জোগানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। অসহায় এই পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীর লিখিতভাবে সহায়তা চান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তার আবেদনটি যাচাইবাছাই শেষে গতকাল তাকে ডেকে মরিয়ম বেগমের চিকিৎসার জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। আর্থিক সহায়তা পাওয়াদের মধ্যে গীতা বিশ্বাস নামের অপর একজন নারীও ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা ও দারিদ্র্যের কষ্টে জর্জরিত এই নারী জেলা প্রশাসকের কাছে চিকিৎসা সহায়তা চান। তাকেও তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা দৈনিক আজাদীকে বলেন, সেবাপ্রত্যাশীরা আসবেন, আমরা তাদের কথা শুনব, সমাধান দিবএসব আমাদের রুটিন কাজ। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমি অতীতে যেসব এলাকার দায়িত্বে ছিলামসেখানেও সাধারণ নাগরিকদের সমস্যা আন্তরিকভাবে শুনেছি। ভোগান্তি লাগবে কাজ করেছি। প্রত্যাশিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, আমি অফিসের সবাইকে বলে দিয়েছিনাগরিকদের সেবা দেওয়াই আমাদের কাজ। সমস্যার সমাধান নাও থাকতে পারেতবে শুনতে হবে। জেলা প্রশাসন হবে নাগরিক বান্ধব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনসিপির ১৫ প্রার্থীর মধ্যে আছেন দুই নারী
পরবর্তী নিবন্ধশরীরে ২৬ ছররা গুলি, মরদেহের অর্ধেক গাড়িতে, বাকিটা সড়কে