ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলবর্তী উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের পর উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের নিয়ে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল। ক্যাম্পগুলো পাহাড়ি অঞ্চল বেষ্টিত থাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা না করা হলেও সবচেয়ে ভয় ছিল পাহাড় ধস নিয়ে। কিন্তু পাহাড় ধসের কোনো ঘটনা ঘটেনি; জানমালের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে ধারণা করছে প্রশাসন। খবর বিডিনিউজের।
রোববার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করে কক্সবাজার জেলা শহর, উখিয়া উপজেলা, টেকনাফ উপজেলা ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং অন্যান্য উপজেলায়। দুপুরের দিকে বৃষ্টি ও বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে। বিকাল ৪টার পর উপকূল সংলগ্ন এলাকায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
টানা এক ঘণ্টার বেশি প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির পর আবহাওয়া ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে। বিকাল ৫টার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়। ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামছুজ্জামান নয়ন সাংবাদিকদের বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েক হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের কাঠ, বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে ঘরবাড়ি রয়েছে; আছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও।
এর মধ্যে কিছু ঘর একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, কিছু ঘর সংস্কার করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। প্রকৃত চিত্র পেতে একটু সময় লাগবে। তবে ঝড় থেমে গেলেও ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের শঙ্কা আছেও বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনও সেখানকার স্বেচ্ছাসেবকরা সতর্ক আছেন। তারা ক্যাম্পে ক্যাম্পে কাজ করছেন। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করে।