৩২ কোটি টাকার চামড়া বিক্রির টার্গেট

আড়তগুলোতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৪ লাখ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৬ জুলাই, ২০২২ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগরী ও উপজেলা থেকে কোরবানির ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের পর এখন বিক্রির জন্য ট্যানারি মালিকদের অপেক্ষায় চট্টগ্রামের আড়তদাররা। গতকাল আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি চামড়া কেনার পর লবণ দেয়া এবং আড়তের শ্রমিকদের মজুরি বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারলেই খুশি তারা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, মহানগরী ও উপজেলায় সংরক্ষণ করা ৪ লাখ চামড়া গড়ে ৮শ টাকায় বিক্রি করতে পারলে এবার ৩২ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি হবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যানারি মালিকদের নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনেছি। এবার লবণের দামও বেশি। তার ওপর লেবারের দাম যুক্ত করে একটি চামড়া গড়ে ৮শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারলে চামড়া প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা লাভ হবে। ট্যানারির মালিকদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন চামড়া কেনার সময় ন্যায্য দামটুকু আমাদের দেন। তা না হলে শুধু আমাদের লোকসান হবে না, অনেক আড়ত বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মহানগরীতে আমরা ৪৫ আড়তদার ১ লাখ ৫৩ হাজার চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছি। এছাড়া উপজেলায় আরো আড়াই লাখের মতো চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সব মিলে ৪ লাখ চামড়া আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিক্রি শুরু হবে। ঢাকার ট্যানারি মালিকরা আসবেন। আমরা একেকটি গরুর চামড়া (২৫ থেকে ২৭ ফুট) ৫শ থেকে ৭শ টাকায় কিনেছি। সর্বশেষ ১৪-১৫ ফুটের একটি চামড়া ৩শ টাকায় কিনেছি। ৩শ টাকার নিচে আমরা আড়তদাররা কোনো চামড়া ক্রয় করিনি।
চামড়া খাতের সংকট প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের আড়তদাররা জানান, গত বছর ঢাকার ট্যানারিগুলোর অধিকাংশই চট্টগ্রামের আড়তদারদের কাছ থেকে চামড়া নেয়নি। ছোটখাটো কয়েকটা ট্যানারির প্রতিনিধি এসে সামান্য কিছু চামড়া কিনেছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের রিফ লেদার নামের একটি ট্যানারির ওপর ভিত্তি করে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ আড়তদার চামড়া সংগ্রহ করেন। এবার চট্টগ্রামের আড়তদারদের কাছ থেকে রিফ লেদার প্রায় এক লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করবে বলে জানিয়েছে আড়তদাররা। গত বছরও এই প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আড়তদারদের কাছ থেকে এক লাখের মতো চামড়া সংগ্রহ করেছিল। এই প্রতিষ্ঠানটিই এখন চট্টগ্রামের আড়তদারদের একমাত্র ভরসা। বাকি চামড়াগুলো ঢাকাসহ অন্যান্য ট্যানারিতে বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় প্রত্যাশিত মূল্য পাওয়া যায় না। এতে করে লোকসানও গুণতে হয় অনেক আড়তদারকে। এভাবে লোকসান গুণতে গুণতে চট্টগ্রামের ১১২টি আড়তের মধ্যে ৪৫টির মতো কোন রকম টিকে আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে ফের অপরাধে জড়াচ্ছে হামকা গ্রুপ