চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আগামী ৩১ জানুয়ারি জাপানি গাড়ি-ফেব্রিঙসহ নিলামে উঠছে ৮৭ লট পণ্য। এটি চলতি মাসের দ্বিতীয় নিলাম। এর আগে গত ২০ তারিখ ১৯ লটে প্রায় ১১শ টন পেঁয়াজ ই-অকশনে (অনলাইন নিলাম) তোলা হয়।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৮৭ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে- জাপানি গাড়ি, গার্মেন্টস ফেব্রিঙ, স্ক্র্যাপ, ক্যাপিটাল মেশিনারি, ফুটওয়্যার, খালি গ্যাস সিলিন্ডার, ক্যালেন্ডার ও ডায়রি, ডিসপোসেবল রেইনকোট, অ্যাকসেসোরিজ, নন প্রিন্টেড পেট ফিল্ম, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের ইকুইপমেন্ট, ওয়াশিং মেশিন, ফার্নিচার, অ্যালকোহল, কেমিক্যাল, নিউজিল্যান্ডের পেঁয়াজ এবং ইলেকট্রিকের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, গতকাল থেকে ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্যাটালগ এবং দরপত্র সংগ্রহ করে আগামী ৩১ জানুয়ারি নিলামের দিন দুপুর ২টার মধ্যে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) দপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তর এবং ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগরী ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দপ্তরে স্থাপিত বাঙে জমা দেয়া যাবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, আপাতত ৮৭ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজসহ আরো কিছু পচনশীল পণ্য নিলামে তোলা হবে। এখনো তা ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।