ঋণ বিতরণের প্রায় ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো ঋণ পরিশোধ না করায় চট্টগ্রামের শিল্পপতি শওকত হোসাইন চৌধুরী, তার স্ত্রী মারুফা বেগম ও তাদের ছেলে আখতার হোসাইন চৌধুরীকে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আটকাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে জানিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে বলেন, নগরীর খাজা রোডের আলহাজ ওয়েল মিলস লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৩০ বছর আগে নেওয়া ঋণ সময় মতো পরিশোধ না করায় তা খেলাপিতে পরিণত হয়। উক্ত খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে জনতা ব্যাংক লালদিঘি শাখা ২০০৬ সালে দায়ীদের বিরুদ্ধে একটি অর্থঋণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ডিক্রি হয়। এতে ১২ শতাংশ হারে সুদসহ ৬০ দিনের মধ্যে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩ টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়। কিন্তু তারা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেননি। এরই ধারাবাহিকতায় ডিক্রিদার তাদের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪২ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে অর্থঋণ জারি মামলা দায়ের করে।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, ডিক্রিদার ব্যাংকের কাছে থাকা দায়িকদের বন্ধকি সম্পত্তি ইতোপূর্বে দুইবার নিলামে বিক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু আগ্রহী ক্রেতা না পাওয়ায় বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রয় করা সম্ভব হয়নি। মূলত বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাধ্য করার প্রয়াস হিসেবে ডিক্রিদার ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আটকাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।