খাগড়াছড়িতে চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে ভূমি ধসের কারণে ঝুঁকিতে পরেছে সিন্দুকছড়ি–জালিয়াপাড়া সড়ক। ২৪ কিলোমিটার ‘নান্দনিক সড়ক’ হিসেবে পরিচিত এ সড়কের ৩০ পয়েন্টে মাটি ধসে গেছে। সড়কের পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাঙনের ঝুঁকিতে এ সড়কটি। আগামী বর্ষার আগে ভেঙে যাওয়া অংশে স্থায়ী প্রতিরক্ষা দেয়াল তৈরি না করলে সড়কটি ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে ভেঙে যাওয়া অংশে মাটি দিয়েছে সওজ।
সড়কের নিয়মিত চলাচলকারী রাজীব ত্রিপুরা, নাসির উদ্দিন ও বকুল চাকমাসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সিন্দুকছড়ি–জালিয়াপাড়া সড়কটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। গত বর্ষায় সড়কের বিভিন্ন অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাটি ধসে গেছে। পাহাড় ধসে মাটি পড়ায় সড়কের বেশি কিছু পয়েন্টে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামত করতে হবে। সড়কটি ভেঙে গেলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
তারা বলেন, সড়কটি সংস্কারে সড়ক বিভাগের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। তারা শুধু রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে। কিন্তু ধস ঠেকাতে উদ্যোগ নেই।
সড়কের বিভিন্ন অংশে পাহাড় থেকে মাটি ধসে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এসব মাটি সরাতে অন্তত ২০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। সড়ক বিভাগের কার্য সহকারী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এখানে ভারী বর্ষণে ৩০টি পয়েন্টে মাটি ধস হয়েছে। আমরা মাটি সরানোর কাজ করছি। এটি শেষ করতে অন্তত ২০ দিন সময় লাগবে।
সড়কটি সংস্কারে দৃশ্যমান উদ্যোগ না থাকলেও সড়কটি রক্ষায় ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করেছে বলে দাবি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি রক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাজ্জল হায়দার। তিনি বলেন, যেহেত এখানে ম্যাসিভ ধস হয়েছে সে কারণে ভাঙনগুলো দেখে করণীয় ঠিক করা হবে। আমরা চেষ্টা করব সড়কটি যাতে শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে সংস্কার করা হয়।