দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বায়েজিদের চন্দ্রনগর এলাকার নাগিন পাহাড়ের আশেপাশে এনফোর্সমেন্ট চালিয়ে পাহাড় কাটা ও পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে বহুতল ভবন করার প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাহাড় কেটে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন এবং পরিবেশের অবস্থানগত ছাড়পত্র না নিয়ে ৬ তলার ঊর্ধ্বে ভবন করার অভিযোগে কমপক্ষে ৩০ জনকে শুনানিতে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট পরিচালনাকারী টিম। নোটিশে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তাদের শুনানিতে হাজিরের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে ‘নাগিন পাহাড় বাঁচবে না?; রাতের আঁধারে মাটি নিয়ে যান প্রভাবশালীরা, পাহাড়ি ভূমিতে তৈরি হচ্ছে ভবন’ শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, নাগিন পাহাড়ের ওই স্থানে একটি ইটভাটা ছিল। পাহাড়টি কেটেই ইট বানানো হতো ইটভাটাটিতে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবছর আগে ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পাহাড়টির আশেপাশে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রায় সব ভবনই নির্মিত হয়েছে পাহাড় শ্রেণির জমিতে। যা আইনগত অবৈধ।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় পাহাড় শ্রেণির জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভবন নির্মাণ করা যায় না। অথচ বেশ কয়েকবছর ধরে আইন না মেনেই এখানে অনেক ভবন গড়ে উঠেছে। আর নাগিন পাহাড়টিও ক্ষয়ে ক্ষয়ে একেবারে নিঃস্ব হওয়ার পথে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নাগিন পাহাড়টি পরিদর্শন করেছি। আশেপাশের অনেক ভবন গড়ে উঠেছে পাহাড় কেটেই। বৃহস্পতিবার কমপক্ষে ৩০জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে তাদের বক্তব্য ও ডকুমেন্ট চাওয়া হবে। ব্যত্যয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’