চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও–পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ (আংশিক) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলি এবং এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সরোয়ার হোসেন বাবলা মারা যাওয়ার ৩০ ঘণ্টা পরও কোনো মামলা হয়নি। ধরা পড়েনি ঘটনায় জড়িত কেউ। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টায় একই এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক অটোরিকশা চালক। এতে ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে খোন্দকারপাড়ায়।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চাইল্যাতলী খোন্দকারপাড়া এলাকায় এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলি করে দুর্বত্তরা। এসময় এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলা। গুলি লাগে এরশাদ উল্লাহ ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইমরানুল হক শান্ত। এরশাদ উল্লাহ ও শান্তকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শান্তর অবস্থা আশংকজনক।
এদিকে গতকাল বিকেলে বাবলার লাশ ময়নাতদন্তের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পুলিশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাদ এশা জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পার হলেও গত রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ওসি আজাদীকে বলেন, এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন। এর আগে সিএমপির উপ–পুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাতে দাফনের পর মামলা করার জন্য থানায় আসবেন পরিবারের সদস্যরা–এমনটাই জানানো হয়েছে। নিহত সরোয়ার বাবলার বাবা আবদুল কাদের বলেন, ঘটনার তিনদিন আগে বড় সাজ্জাদ আমার ছেলেকে বলেছে, তোমার সময় শেষ। যা খাওয়ার আছে খেয়ে নাও। রায়হানকে দিয়ে আমার ছেলেকে মারিয়েছে।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, এরশাদ উল্লাহ মূল টার্গেট ছিলেন না। টার্গেট যে ছিল সে সরোয়ার বাবলা মারা গেছে। তিনি বলেন, সারোয়ার বাবলার ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল। যারা করেছে এদেরও। এরা প্রতিপক্ষ ছিল। এই ঘটনার মূল কুশীলব বর্তমানে জেলে ছিল। দেশের বাইরে থেকেও নানা রকম ইন্ধন আসছে।












