সিজেকেএস ৩য় বিভাগ ক্রিকেট লিগে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে উঠেছে নোয়াপাড়া লায়ন্স ক্লাব। এই গ্রুপে তিন দল নোয়াপাড়া লায়ন্স ক্লাব, সন্দ্বীপ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং মাদারবাড়ী উদয়ন সংঘ প্রত্যেকই ৩ খেলা শেষে দুই জয়ের সুবাদে ৬ পয়েন্ট করে লাভ করে। ফলে নেট রান রেটের ভিত্তিতে শীর্ষ দল নির্ধারণ করা হয়। এতে নোয়াপাড়া লায়ন্স ক্লাব এগিয়ে থাকার সুবাদে তারাই শীর্ষ দল হিসেবে সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। গতকাল এ গ্রুপে মাদারবাড়ী উদয়ন সংঘ এবং সন্দ্বীপ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা নিজ নিজ খেলায় জয় পায়। মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় মাদারবাড়ী উদয়ন সংঘ ৭০ রানে কাস্টমস এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট ক্লাবকে পরাজিত করে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একই গ্রুপের অন্য খেলায় সন্দ্বীপ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ৯ রানে পরাজিত করে নোয়াপাড়া লায়ন্স ক্লাবকে। মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে টসে জিতে মাদারবাড়ী উদয়ন সংঘ প্রথমে ব্যাট করতে নামে। ৪৮.৩ ওভার খেলে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে তারা সব উইকেট হারায়। শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। পরে মো. হোসেন ২৬,তসলিম চৌধুরী ৪৩ এবং তারেক হোসেনের অপরাজিত ২৪ রানের সুবাদে রান সংখ্যা দেড় শতের কোঠা পার হয়। তবে অতিরিক্ত ৩৯ রানও ভালো অবদান রাখে। এছাড়া মো. সাজিদ ১২ এবং মো. জুনাইদ চৌধুরী ১০ রান করেন। কাস্টমস এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট ক্লাবের মনিরুল জামান, সাফায়েত উল্লাহ এবং টিপু সুলতান প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান জাহাঙ্গীর আলম হেলাল খান ফাহিম এবং মো. রায়হান। জবাবে কাস্টমস এঙাইজ এন্ড ভ্যাট ক্লাব ৩৫.৩ ওভার খেলে ৯৬ রানে অল আউট হয়। উদয়ন সংঘের মো. তুহিন এবং মো. তারেক হোসেনের বোলিং তোপে কাস্টমসের সাফায়েত উল্লাহ ১৮ এবং মাসুমুল কবিরের অপ. ২৮ রান ছাড়া আর কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। অতিরিক্ত থেকে আসে ২২ রান। তুহিন ১৭ রানে ৪টি এবং তারেক ১৮ রানে ৩টি উইকেট লাভ করেন। ১টি করে উইকেট পান মাহাথির মো. আয়াত, মো. সাজিদ এবং তসলিম চৌধুরী। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সন্দ্বীপ উপজেলা এবং নোয়াপাড়া লায়ন্সের মধ্যে বেশ লড়াই হয়। টসে জিতে সন্দ্বীপ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে তারা ২০৮ রান তুলে সবাই আউট হয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য দিক ছিল দলের সাজ্জাদ হোসেনের অনবদ্য শতরান। তিনি ১০১ বল খেলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭টি চার এবং ৬টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। এটি লিগের প্রথম সেঞ্চুরি। অন্যদের মধ্যে শাহরিয়ার জামিল এবং সাইফন ২৭ রান করে জমা করেন। এ কে রানা করে ২০ রান। অতিরিক্ত থেকে আসে ২৫ রান। নোয়াপাড়া লায়ন্স ক্লাবের সাকিবুল ইসলাম ২৯ রানে ৫টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া সাকিব বিন আলম ২টি,রেজাউল হোসেন শাহিন এবং ওবাইদুর রহমান ইশতি ১টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে নোয়াপাড়া লায়ন্স শুরুতে উইকেট হারালেও পরে ওপেনার মোকলেসুর রহমান এবং ওবাইদুর রহমান ইশতির দুই অর্ধশতকে খেলা জমিয়ে তোলে। মোকলেস ৫৫ রানে আউট হয়ে গেলেও ইশতি লড়াই চালিয়ে যান। ব্যক্তিগত ৬০ রানের মাথায় তিনি আউট হয়ে গেলে নোয়াপাড়ার আশা শেষ হয়ে আসে। এ সময় দলীয় রান ছিল ৯ উইকেটে ১৯১ রান। শেষ উইকেটে আর শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯৯ রানে থেমে যায় নোয়াপাড়া লায়ন্স ক্লাবের ইনিংস। অতিরিক্ত থেকে তাদের ইনিংসে জমা হয় ৪৫ রান। সন্দ্বীপ উপজেলার পক্ষে তানভির এবং শাহরিয়ার জামিল ৪টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৩৫ এবং ৪৯ রান দিয়ে। ২টি উইকেট পান জাহিদ হোসেন।