কলেজের একাদশে ভর্তিতে ৩য় বা শেষ পর্যায়ে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)। সর্বশেষ প্রকাশিত এই তালিকায়ও কলেজ জুটেনি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত চট্টগ্রামের ১৬৮ শিক্ষার্থীর। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৬৮ জনসহ সবমিলিয়ে ১১ হাজারেরও বেশি (১১ হাজার ১৪১ জন) শিক্ষার্থী শেষ তালিকায় ঠাঁই পায়নি। সর্বশেষ তালিকায়ও ঠাঁই না পাওয়ায় এসব শিক্ষার্থীর কলেজ ভর্তিই এখন অনিশ্চিয়তায়। কারণ, ৩ দফায় আবেদন ও নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কলেজের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যা ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। যদিও ভর্তি কার্যক্রম শেষে মনোনীত না হওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। এর আগে পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থী কোথাও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির তথ্য অনুযায়ী- চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৮ শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে। এর মধ্য থেকে কলেজ ভর্তির জন্য সর্বশেষ (৩য় পর্যায়ের) তালিকা পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৫ জন। হিসেবে আরো ১১ হাজার ১৪৩ শিক্ষার্থী আবেদন করেও কলেজ পায়নি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৬৮ জন শিক্ষার্থীও রয়েছে। এরা সবাই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ ধারী।
শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলছেন, চট্টগ্রামে এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১২ হাজার ৪৩৭ জন। আবেদনকারী জিপিএ-৫ ধারী এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩য় দফা পর্যন্ত কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে ১২ হাজার ২৬৯ জন। হিসেবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আরো ১৬৮ জন শিক্ষার্থী এখনো কলেজ পায়নি। এরাসহ চট্টগ্রামের ১১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর কলেজ ভর্তি এখন অনিশ্চয়তায়।
এদিকে, প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীর দুই দফায় মাইগ্রেশন হয়েছে জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন, মাইগ্রেশনে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম মাইগ্রেশন হওয়া কলেজের তালিকায় থাকবে। সেখানেই তারা ভর্তির সুযোগ পাবে। ভর্তির সময় মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট দিতে না পারলেও শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন, তবে তাদের ১ মার্চের মধ্যে মূল ট্রান্সক্রিপ্ট কলেজে জমা দিতে হবে।