অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও কারফিউয়ের কারণে বাজারে চাল সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রম (খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি) ফের চালু করছে সরকার। আগামী ২৯ জুলাই সোমবার থেকে ওএমএস কার্যক্রম আবার চালু হতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডিলারের মাধ্যমে ২৫টি কেন্দ্রে সকাল থেকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় চাল এবং আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে একটি কেন্দ্রে প্রতিদিন বিক্রির জন্য ১ মেট্রিক টন চাল এবং ১ মেট্রিক টন আটা দেয়া হবে। যে কোনো ব্যক্তি সরকারের এই ন্যায্যমূল্যের চাল ও আটা ক্রয় করতে পারবেন বলে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। ওএমএস–এর ১ কেজি চালের দাম ৩০ টাকা এবং ১ কেজি আটার দাম ২৪ টাকা।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন আজাদীকে বলেন, আগামী সোমবার থেকে চট্টগ্রামেও ওএমএস কার্যক্রম (খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি) চালু হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে আমাদের ২৫টি কেন্দ্র রয়েছে। এই ২৫টি কেন্দ্রে প্রতিদিন চাল এবং আটা বিক্রি হবে। একটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন চাল এবং ১ মেট্রিক টন আটা দেয়া হবে সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য। যে কোনো ব্যক্তি এসব কেন্দ্র থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল এবং ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারবেন। এই কার্যক্রম শুধু চট্টগ্রাম মহানগরীতে চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে চট্টগ্রামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে।
টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামে জুলাই মাসের পণ্য বিক্রি আমরা শুরু করবো। এবারের বরাদ্দে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা। এবার মোট প্যাকেজ মূল্য ৪৭০ টাকা। এদিকে চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী ব্যক্তিরা পণ্য কিনতে পারবেন বলে জানায় টিসিবি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ১ হাজার কার্ডধারী ফ্যামিলি টিসিবির পণ্য পাবেন। ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় কাউন্সিলররা ওয়ার্ড ভিত্তিক যাদের তালিকা করে কার্ড দিয়েছেন তারাই টিসিবির পণ্য পেয়ে থাকেন।