নগর বিএনপির আওতাধীন ৩৫টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় গত ৩ জুন। এরপর কমিটিগুলোতে যোগ্যদের স্থান দেয়া হয়নি দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভসহ মিছিল–সমাবেশ হয়েছে। ঘটেছে হাতাহাতির ঘটনাও। ওয়ার্ড কমিটিগুলো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা। সেই ক্ষোভের রেশ না কাটতেই গতকাল মঙ্গলবার ৩১টি ওয়ার্ডে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে নগর বিএনপি। এতে অবশ্য পূর্বে ঘোষিত আহ্বায়ক–সদস্য সচিবকে বহাল রাখা হয়। ওই হিসেবে বলা যায়, চলতি মাসের শুরুতে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির আকার বেড়ে পূর্ণাঙ্গ হয়েছে।
এদিকে পূর্বে যে ৩৫টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটির গঠন করা হয় তার মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডের আহবায়ক কমিটি গতকাল পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি। তবে নতুন করে ৪টি ওয়ার্ডে ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
পূর্ব ঘোষিত তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করা ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে– ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড, ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড, ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড, ২৫নং রামপুর ওয়ার্ড, ২৮ নং ডবলমুরিং ওয়ার্ড ও ৩৭ নং রামপুর ওয়ার্ড।
৪ ওয়ার্ডে নেতৃত্বে যারা : নতুন করে ঘোষিত ৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে মো. বেলালকে আহবায়ক ও আবদুল করিমকে সদস্য সচিব করা হয়। এছাড়া ৯নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে মো. বোরহান উদ্দিন প্রধানকে আহবায়ক ও মাহাবুব আলমকে সদস্য সচিব, ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে মো. আবদুল হালিমকে আহবায়ক ও এম. এ হাসনাতকে সদস্য সচিব এবং ৪৪ নং সাংগঠনিক ওয়ার্ডে মো. মামুন আলমকে আহবায়ক ও জাফর আহম্মদ খোকনকে সদস্য সচিব করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি করা প্রসঙ্গে নগর বিএনপি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে গত ৩ জুন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ৩১টি ওয়ার্ডে তিন সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় কমিটিগুলোকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরের বাকি ওয়ার্ডগুলোর কমিটিও ধারাবাহিকভাবে গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
নগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ধারাবাহিকভাবে পুনর্গঠনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলীয় অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অতীত আন্দোলনে ভূমিকা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা দুঃসময়ে দলের পাশে থেকেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে সংগঠন পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন তাদেরই যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলোর মাধ্যমে দলের ভেতর গণতান্ত্রিক চর্চা আরও সুসংহত হবে এবং তৃণমূলে সংগঠনের ভিত্তি হবে আরও মজবুত ও কার্যকর।
নগর বিবএনপির যুগ্ম আহবায়ক শওকত আজম খাজা বলেন, তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর যারা বিক্ষোভ করেছে তাদের মধ্যেও যোগ্যদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হয়েছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি হয়েছে। কাউকে অবমূল্যায়ন করা হয়নি।