আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে সড়কে বসে পড়ার মতো কোনো কর্মসূচি আসছে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেদিন আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরুর ঘোষণা দেওয়ার চারদিন পর তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ হবে। এরপর যার যার মতো করে চলে যাবেন। সেদিন বড় কোনো কর্মসূচিও আসছে না। তা ঘোষণা হবে পরে। গতকাল দুপুরে নয়া পল্টনে দলের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ সফল করতে দলের অঙ্গসংগঠন এবং ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর নেতাদের নিয়ে এই সভা হয়। খবর বিডিনিউজের।
শনিবারের সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে পড়বে বলে ক্ষমতাসীনরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। নো নো, এটা একেবারেই একটা অপপ্রচার। আমরা আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীকে ঢাকায় এসে বসে পড়তে বলিইনি। আমরা বলেছি, ২৮ তারিখের কর্মসূচির পরে যে যার জায়গায় চলে যাবে এবং পরবর্তী কর্মসূচির জন্য তারা অপেক্ষা করবে। ইট ইজ ক্লিয়ার? আমরা ২৮ তারিখে এমন কোনো কর্মসূচি দেব না যে, তারা ঢাকায় বসে থাকবে। মির্জা ফখরুল বলেন, পালাবার কোনো পথ নাই তো। সময় শেষ। পরক্ষণেই তিনি বলেন, এই পার্লামেন্ট শেষ অধিবেশন… আসলে শেষ অধিবেশন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিতে চাই, ২৮ অক্টোবরে আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হবে। এর নিরাপত্তার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা যেটা প্রয়োজন, সেগুলো আমরা নিয়েছি।
বিএনপি নয়া পল্টনে জড়ো হতে চায়। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে এ কথা জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে তারা। তবে পুলিশ এখনও কিছু জানায়নি।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে বলে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটাতেই বুঝা যায় যে, সরকারের উদ্দেশ্য খুব খারাপ। সরকার ও পুলিশ কোনো ধরনের বাধা দেবে না আশা করে ফখরুল বলেন, আপনারা কোথাও অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করবেন না। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।
‘দেশ অস্থিতিশীল হলে দায় সরকারের’ এই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশপ্রেম থাকলে, দেশের মানুষকে ভালোবাসলে, গণতন্ত্রের প্রতি যদি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকে, তাহলে আমি আহ্বান জানাব আওয়ামী লীগকে যে, তারা পার্লামেন্টের এই অধিবেশনে এই ব্যবস্থাটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) সংবিধানে সন্নিবেশিত করে একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। বার কাউন্সিল ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তিনি পারেন না বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।