২৭ দিন পর কাল খুলছে চমেক

ছাত্রী হোস্টেল খুলে দেয়া হচ্ছে আজ ।। বন্ধই থাকছে ছাত্র হোস্টেল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে ওই দিন (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় চমেক কর্তৃপক্ষ। বন্ধ ঘোষণার ২৭ দিন পর অবশেষে আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) খুলছে চমেক। এর আগে আজ (শুক্রবার) ছাত্রীদের হোস্টেল খুলে দেয়া হচ্ছে। যদিও ছাত্রদের হোস্টেল বন্ধই থাকছে। চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজাদীকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার (আগামীকাল) থেকে ক্যাম্পাস চালু হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রীদের হোস্টেল শুক্রবার খুলে দেয়া হবে। কিন্তু ছাত্রদের হোস্টেল বন্ধ থাকবে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদের হোস্টেলের সিট বাতিল করা হয়েছে। তাদের পুনরায় নতুন করে আবেদন করতে হবে। হোস্টেল কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নতুন করে ছাত্রদের সিট বরাদ্দ দেবে। নতুন করে সিট বরাদ্দ না দেয়া পর্যন্ত ছাত্রদের হোস্টেল বন্ধই থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক হোস্টেল ও ক্যাম্পাসে সংঘটিত ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মারামারির ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে চমেক কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েই পরদিন (মঙ্গলবার) একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার। সোমবার হস্তান্তর করা ওই প্রতিবেদনসহ আগের আরো দুটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিভিন্ন মেয়াদে ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী।
একই সাথে ২৭ নভেম্বর (শনিবার) থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্তও নেয়া হয় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওই একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়।
মিছিল, সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল : পূর্বের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মঙ্গলবারের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়। অর্থাৎ এই সিদ্ধান্তের আওতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। একই সাথে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত চমেক হোস্টেল ও ক্যাম্পাস পুলিশ প্রশাসনের কাছে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে যে কোনো পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো শিক্ষার্থীকে বা তাদের কক্ষে তল্লাশি সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমায়ানমারের ভূমিকম্পে কাঁপল চট্টগ্রামও
পরবর্তী নিবন্ধকেমন হবে উইকেট