বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা, ভোটাধিকার, আইনের শাসন এবং জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পেতে চায়। জনগণ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে অবৈধ ফ্যাসিস্ট, দখলদার, অনির্বাচিত ও নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এবার আর ভোট চুরি করতে দেয়া যাবে না। ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। ভোট চোরদের ধরে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের মানুষের জন্য নির্বাচিত সরকার আনতে হবে। দেশের মানুষের এখন একটাই দাবি– এই সরকারকে বিতাড়িত ও পতন করা। বিএনপির এই ২৭ দফা সেই দাবির সপক্ষে আন্দোলনেরই একটি অংশ।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে কাজীর দেউড়িস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নাই। দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। আজকে বিএনপির ২৭ দফার রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
আমির খসরু বলেন, বিএনপি সরকারে কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না। প্রত্যেকটা নাগরিক যাতে হেলথ সুবিধা পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তারেক রহমান যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে দেশের আমূল পরিবর্তন হবে। আবার যারা হতদরিদ্র তাদেরকে ওষুধের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যারা চাকরি পাবে না, যারা বেকার তাদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে
দেয়ার লক্ষ্যে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন–২০৩০ আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় উপস্থিত সভায় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, ডা. জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, এডভোকেট এনামুল হক, এডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
