২৫৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম কীর্তি কনওয়ে-ল্যাথামের রেকর্ডময় দিন

| সোমবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডেভন কনওয়ে ২২৭ ও ১০০। টম ল্যাথাম ১৩৭ ও ১০১। দুই ইনিংসেই দুজনের শতরান। ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য কীর্তির নজির এসব। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের রান উৎসবে টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই প্রথম একটি কীর্তির জন্ম হলো মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পিষ্ট করে দুই ইনিংসেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন কনওয়ে ও ল্যাথাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের শুরু ধরা হয় ১৭৭২ সাল থেকে। ইতিহাসের এই দীর্ঘ পথচলায় একই দলের দুই ওপেনারের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি এটিই প্রথম। দুজনের ব্যাটে রেকর্ড হয়েছে আরও একগাদা। নিউজিল্যান্ড একরকম নিশ্চিত করে ফেলেছে, ম্যাচটি হারা হারছে না কোনোভাবেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য দিনটা ভালোভাবে শেষ করে জিইয়ে রেখেছে ড্রয়ের আশা। প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানের লিড পাওয়া কিউইরা দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ২ উইকেটে ৩০৬ রানে। ক্যারিবিয়ানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬২। ১৬ ওভার ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে তারা ৪৩ রান নিয়ে। ল্যাথাম ও কনওয়ে ব্যাটিংয়ে নামার পর শুরুটা করেছিলেন ধীরলয়ে। লাঞ্চের পর আগ্রাসনের শুরুটা করেন কনওয়ে। দ্রুত রান তুলে পঞ্চাশে পৌঁছে যান তিনি ৬৩ বলে। তখনও পর্যন্ত ল্যাথামের রান ৫১ বলে ১৬। পরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কও রানের গতি বাড়িয়ে নেন। শতরানে তিনি কম খেলেন কনওয়ের চেয়ে। কনওয়ের সেঞ্চুরি আসে ১৩৬ বলে। ৩২ টেস্টে তার সপ্তম সেঞ্চুরি এটি। একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির নজির টেস্ট ইতিহাসে হলো দশমবার। তবে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এটিই প্রথম। জুটিতেও একটি অনন্য কীর্তি ততক্ষণে হয়ে গেছে। একই টেস্টে এক ইনিংসে তিনশ ও আরেক ইনিংসে শতরানের বন্ধন গড়া প্রথম জুটি এটিই। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুই ইনিংসেই শতরানের উদ্বোধনী জুটি আগে ছিল একবারই। সেখানেও জড়িয়ে আছে ল্যাথাম পরিবারের নাম।

১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়াতে এই নজির দেখিয়েছিলেন মার্ক গ্রেটব্যাচ ও রড ল্যাথাম, যিনি টম ল্যাথামের বাবা। সেঞ্চুরির পরই বিদায় নেন কনওয়ে। জুটি থামে ১৯২ রানে। ততক্ষণে আরেকটি প্রথমের জন্ম হয়েই গেছে। ইতিহাসের প্রথম কোনো উদ্বোধনী জুটি এক টেস্ট স্পর্শ করল ৫০০ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫১৫ রান যোগ করেছেন কনওয়ে ও ল্যাথাম। আগের সর্বোচ্চ ৪১৫ ছিল গ্রায়েম স্মিথ ও নিল ম্যাকেঞ্জির ৪১৫। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসেই ওই রান করেছিলেন দুজন, যা শুরুর জুটির বিশ্বরেকর্ড। ল্যাথামের সেঞ্চুরি আসে ১২৭ বলে। সিরিজে তার তৃতীয় আর ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি এটি। তিনিও বিদায় নেন শতরানের পরপর। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করা কাভেম হজ বল হাতে শিকার করেন কিউইদের দুই ওপেনারের উইকেট। দিনশেষে দুই দল মিলিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে রান এসেছে ৬৬৯। এটিও বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল ১৯৫৬ সালে ভারতনিউজিল্যান্ড চেন্নাই টেস্টে ৫৭৭।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমিরাতে বিজয় দিবস উপলক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
পরবর্তী নিবন্ধসিলেটে ছোট পরিসরে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান