নগরীর আকবরশাহ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকৃত সিএনজি টেঙিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ৯ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ইপিজেড থানা পুলিশের সহায়তায় ইপিজেড থানাধীন ব্যাংক কলোনি বড় মিয়ার পুরাতন বাড়িস্থ আলীশাহ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মোটর ওয়ার্কশপের ভিতর থেকে ছিনতাইকারী জামশেদ উদ্দীন (৩৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার দেখানো মতে ছিনতাইকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ২০ মিনিটে ছিনতাইকারী জামশেদ উদ্দীনসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জন বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন মোড় থেকে একটি সিএনজি (রেজিঃ নং–চট্টগ্রাম–থ–১৩–৯৯৫০) আকবরশাহ থানাধীন কর্নেলহাট এলাকার ঈশান মহাজন রোড পর্যন্ত ভাড়া নেয়। সিএনজিটি আকবরশাহ থানাধীন কর্নেলহাট এলাকায় আসার পর আসামিরা তাদেরকে ঈশান মহাজন রোডের ভিতর নামিয়ে দিতে বলে। রাত ১২ টা ১০ মিনিটের দিকে সিএনজিটি আকবরশাহ থানাধীন টোল রোড সংলগ্ন ঈশান মহাজন রোডের জনৈক মোর্শেদের মুরগী ফার্ম সংলগ্ন রাস্তার উপর পৌঁছলে ছিনতাইকারীরা ড্রাইভার মো. রিপনকে (৪২) পেটে ছুরি ধরে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে রশি দিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখে। এসময় চালকের কাছ থেকে ১টি মোবাইল, নগদ–১ হাজার ৪শ টাকাসহ সিএনজি ট্যাক্সিটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানার পর সিএনজির মালিক মাহবুব আলম (৩০) আকবরশাহ থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত সিএনজি টেক্সিসহ জামশেদ উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আকবরশাহ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চুরির আরো ৬টি মামলা রয়েছে।












